ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিশরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

প্রকাশনার সময়: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫০

নীল নদ আর পিরামিড এর দেশ মিশরের রাজধানী কায়রোতে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করল মিশর প্রবাসীরা।‌

মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম স্থানীয় সময় সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন।

সন্ধ্যা ৫:৪৫ মিনিটে দূতাবাস হল রুমে মোহাম্মদ ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে এবং বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত প্রার্থনা করে মোনাজাতের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আল-আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেওয়াজ জুলকার নাইম ও ফাহিম আহমেদ।‌

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, ২য় সচিব আতাউল হক, তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার ও রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী এবং কায়রোর বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে থেকে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মিশরে বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠন ইত্তেহাদ এর সভাপতি নাজীব শাওকী, পোশাক শিল্প ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধার প্রবাসী সন্তান‌ মাহদী।‌ বক্তারা বীর মুক্তিযুদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, বিজয় অর্জন ও দেশের সার্বিক উন্নতির ওপর আলোকপাত করেন।

সমাপনী বক্তব্যে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম বিজয়ের আনন্দের এই দিনে মিশরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে সরকার ‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সকল প্রবাসীকে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার পর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান ও আনন্দদায়ক কৌতুক পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে বাঙালি ঐতিহ্যে রাতের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ