চোখের দৃষ্টিশক্তি বিভিন্ন কারণে বেড়ে যেতে পারে। এটা যেমন বড়দের ক্ষেত্রে ঘটে, তেমনি শিশুদের ক্ষেত্রেও। যে কারণেই দৃষ্টিশক্তি বাড়ুক না কেন, তা স্বাভাবিক করতে কিছু না কিছু ব্যবস্থা নিতে হবেই।
শিশুর ক্ষেত্রে : বাবা-মায়ের মাইনাস পাওয়ার থাকলে শিশুরও তা হতে পারে। তাই খেয়াল রাখুন। খেলনা দূরে রেখে দেখুন চিনতে পারে কিনা। এক চোখ চেপে রেখে দেখুন অন্য চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় কিনা। অক্ষর পরিচয় হওয়ার পর স্নেলেন চার্ট বিভিন্ন দূরত্বে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। শিশু যদি বই খুব কাছে নিয়ে পড়ে, কাছ থেকে টিভি দেখে, স্কুলবোর্ডের লেখা পড়তে না পারে, মাথাব্যথা, চোখব্যথা, অঞ্জনিতে কষ্ট পায়, বুঝতে হবে হয়তো পাওয়ার বেড়ে গেছে।
কম দেখা পাওয়ারের জন্যই কিনা, জানতে কার্ডবোর্ডে পিন দিয়ে ছিদ্র করুন। এক চোখ বন্ধ করে দূরের জিনিসের দিকে তাকাতে বলুন। এবার জিনিসটি ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে দেখান। আগের তুলনায় স্পষ্ট দেখলে বুঝবেন পাওয়ার বেড়ে গেছে। শিশু যদি সোজা জিনিস বাঁকা, চৌকো জিনিস এবড়োখেবড়ো বা গোল জিনিস ডিম্বাকার দেখে, বুঝতে হবে সিলিনড্রিকাল পাওয়ার দেখা দিয়েছে।
বড়দের ক্ষেত্রে : চোখে কম দেখলেই বোঝা যাবে পাওয়ার বেড়েছে। ৪০ বছরের পর বইপত্র পড়তে চশমা লাগে। যারা আগে মাইনাস পাওয়ারের চশমা পরে বই পড়তেন, তারা হঠাৎ অসুবিধা বোধ করতে পারেন। কারণ ৪০ বছরের পর কাছের পাওয়ার নির্ভর করে দূরের পাওয়ারের ওপর। কাছের পাওয়ার +১ এবং দূরের পাওয়ার +১ হলে চশমার কাছের পাওয়ার হবে +১+১=২। আর দূরে -১ হলে সামনের পাওয়ার দাঁড়াবে +১-১=০। অর্থাৎ খালি চোখে বই পড়া বা সুচে সুতা পরাতে পারবেন। ৪০ বছর বয়সে বই পড়তে প্লাস পাওয়ারের চশমা লাগত। ৫০ বছরের পর দেখলেন খালি চোখেই পড়তে পারছেন। ডায়াবেটিস বা ছানি দেখা দিয়েছে কিনা, দেখুন। দুই ক্ষেত্রেই চোখে খানিকটা মাইনাস পাওয়ার আসে। ফলে প্লাসে মাইনাসে অ্যাডজাস্ট হয়ে যায়।
লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন; সাবেক বিভাগীয় প্রধান, চক্ষুরোগ বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বার : আল-রাজী হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা। ০১৫৫২৪০৯০২৬, ০১৭১০৭৩৬০০৮
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ