জীবনে একবারও ত্বকে চুলকানি হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। খুব সাধারণ এই ব্যাপারটি এক অস্বস্তিকর অনুভূতি। অনেকেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ত্বকের সাধারণ সমস্যা অথবা সরল চর্মরোগ থেকে চুলকানির সূত্রপাত হয়েছে। আপনার চুলকানি অনুভূত হলে প্রথমে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যেমন_
নারকেল তেল অথবা জলপাই তেল
চুলকানির সবচেয়ে সেরা ঘরোয়া চিকিৎসাটি হয়তো আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। নারকেল তেল ও জলপাই তেল ত্বকের হাইড্রেশন বা আর্দ্রতার জন্য ভালো এবং ত্বকের ক্ষতি করে না, বলেন নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিলে অবস্থিত ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লেজার সেন্টারের ত্বক বিশেষজ্ঞ ক্রিস জি. অ্যাডিগান। যেকোনো শুষ্ক ও চুলকানির স্থানে এসব তেল মাখতে পারেন।
লেবু
তুলসী পাতা তুলসী পাতায় আছে ইউজেনল যা একটি অ্যান্সথেটিক উপাদান। এই উপাদানটি চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়ক। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫/২০টি তুলসী পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস বের করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার টাওয়েলে পানিটি লাগিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ আরাম অনুভূত হবে।
পুদিনা পাতা পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুলকানির প্রতিসেধক হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে নিন। এরপর এই পানিটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
অ্যালোভেরা ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহারের কথা তো সবাই জানেন। চুলকানি প্রতিকারেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি হচ্ছে সেখানে একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে রস বের করে লাগিয়ে রাখুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ