ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন

প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৫৫ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৫৮

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জনমনে। যেটির উৎপত্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টি মারাত্মক হুমকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপকভাবে মিউটেট (আচরণ পরিবর্তন) করেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯। তবে দ্রুতই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটির গ্রীক নাম (আলফা, ডেল্টা) নির্দিষ্ট করবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি প্রদেশে কিছু মানুষ এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে বাস্তবে এটি আরও ছড়িয়ে গেছে।

এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি দেশ - দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো, এসওয়াতিনি - থেকে সব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে।

এই ভ্যারিয়েন্টটি কতটা দ্রুত ছড়াতে পারে, প্রচলিত টিকার মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে কতটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা পেতে কী করা যেতে পারে - তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

কী জানা যাচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে?

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা ইমপেরিয়াল ডিপার্টমেন্ট অব ইনফেকশাস ডিজিজের একজন ভাইরোলজিস্ট নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে 'ভয়াবহ' ও 'এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে খারাপ ধরণ' বলে বর্ণনা করেছেন।

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকংয়ে মোট ৫৯ জন নুতন ভ্যারিয়েন্ট বি.১.১.৫২৯ দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভিয়েরা বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের 'মিউটেশনের ধারা অস্বাভাবিক' এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি 'অনেক ভিন্ন।'

"এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের অবাক করেছে। বিবর্তনের হিসেবে এবং পরবর্তী মিউটেশনের হিসেব করলে এটি কয়েক ধাপ লাফ দিয়েছে।"

এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক অলিভিয়েরা বলেন, সব মিলিয়ে ৫০টি মিউটেশন রয়েছে যার মধ্যে ৩০টি মিউটেশেনই স্পাইক প্রোটিনে। অধিকাংশ টিকাই স্পাইক প্রোটিনের এই ভ্যারিয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করে।

ভাইরাসের যে অংশটি - রিসিপটর বাইন্ডিং ডোমেইন - আমাদের শরীরের কোষের সাথে প্রথম সংযোগ ঘটায়, নুতন ভ্যারিয়েন্টে সেটির ১০টি মিউটেশন রয়েছে। ভয়াবহ ক্ষতিকর হিসেবে আলোড়ন তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে এই মিউটেশন ছিল মাত্র দুটি।

অনেকগুলো মিউটেশন থাকা মানেই যে তা ক্ষতিকর, তা নয়। কিন্তু মিউটেশনগুলো আসলে কী ক্ষতি করছে - তা জানা জরুরি।

চিন্তার বিষয় হলো, চীনের উহানে উদ্ভূত ধরণের চেয়ে এটি অনেক ভিন্ন।

এর অর্থ হলো, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তৈরি হওয়া টিকা - যেগুলো মূল ধরণটি ব্যবহার করে বানানো হয়েছিল - নতুন ধরণের জন্য সমানভাবে কার্যকর নাও হতে পারে। বিবিসি বাংলা

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ