ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গর্ভপাতের পর দ্রুত অন্তঃসত্ত্বা হতে করণীয়

প্রকাশনার সময়: ১১ অক্টোবর ২০২১, ০৭:১৪
প্রতীকী ছবি

একটি সুস্থ সন্তান পৃথিবীতে আসবে এটি কোন মায়ের না চাওয়া। সন্তানকে গর্ভে ধারন করার পর প্রসবকাল পর্যন্ত চল্লিশ সপ্তাহের এই লম্বা যাত্রায় অনুর সমান ভ্রুন থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশুর অবয়ব ধারন করা পর্যন্ত গর্ভস্থ সন্তান পরিবর্তিত হয় নানান ভাবে, আস্তে আস্তে পরিণত হয় একজন সম্পূর্ণ মানুষে। কিন্তু অনেক সময় অন্তঃসত্ত্বাদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটে।

অনেকের আবার বারবার এই সমস্যা দেখা দেয়। এমনটি হলে মায়েরা ভেঙে পড়েন। আবার অনেকে নতুন করে আশায় বুকও বাধেন।

চিকিৎসকদের মতে, গর্ভপাতের পর আবার গর্ভধারণ করতে চাইলে অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। গবেষণায় অপেক্ষার জন্য ক্লিনিক্যাল কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে অধিকাংশ চিকিৎসক এই পরামর্শ দেন যে, পুনরায় গর্ভধারণের পূর্বে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। স্কটল্যান্ডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব আবিরডিনের অবস্টেট্রিক এপিডেমিওলজির সিনিয়র লেকচারার সোহিনী ভট্টাচার্যও এমনটা মনে করেন।

গর্ভপাতের পর যখন আবার গর্ভবতী হওয়া সম্ভব

সাধারণত কোনো নারীর গর্ভপাত হলেও তিনি ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় গর্ভবতী হতে সক্ষম হবেন। আবার কবে গর্ভধারণ হবে তা নির্ধারণের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হলো পরবর্তী ওভুলেশন। পরিণত ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো ওভুলেশন। শুক্রাণু দ্বারা এই ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে গর্ভধারণ হয়। গর্ভপাতের পর ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে নারীর মাসিক চক্র স্বাভাবিকে ফিরে আসে। তবে নারীভেদে এটা ভিন্নও হতে পারে।

পুনরায় গর্ভবতী হতে চাইলে ওভুলেশনের সময় সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো। সাধারণত পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রায় ১৪ দিন পূর্বে ওভুলেশন হয়।কোনো নারীর গড় মাসিক চক্র ২৮ দিনের হলে ১৪তম দিনের আশপাশে ওভুলেশন হবে এবং তার জন্য সবচেয়ে উর্বর সময় হলো ১২, ১৩ ও ১৪তম দিন। যদি গড় মাসিক চক্র ৩৫ দিনের হয়, তাহলে ২১তম দিনের আশপাশে ওভুলেশন হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উর্বর সময় হলো ১৯, ২০ ও ২১তম দিন। তবে সাধারণত গর্ভপাতের পর পুনরায় গর্ভবতী হতে দীর্ঘ অপেক্ষা না করাই সর্বোত্তম।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ