দেড়টা বছর ধরে জ্বর শব্দটি সবার কাছেই আতঙ্কের। কোভিড অতিমারির সংকটে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। যারা সুস্থ হচ্ছেন তাদের কিছু বিষয়ে সর্তক থাকাটা খুব দরকার। ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পরেও হালকা জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ছাড়াও পেশিতে, মাথায়, চোখের পেছনে ব্যথা থেকে যেতে পারে। ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর কী কী সর্তকতা অবলম্বন করবেন, জেনে নেয়া যাক।
সবার আগের সচেতনতা জরুরি। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিজেরই কাছে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির চারপাশে বৃষ্টির পানি জমতে দেয়া যাবে না। টব, বাতিল টায়ার, প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ভেতর পানি জমে মশা বংশ বিস্তার করতে পারে। তাই এগুলো ফেলে দিন। দিনে-রাতে যখনই ঘুমান তখন অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। মশা সুযোগ পেলেই ঘরে ঢুকে এবং কামড়ে দিতে চায়। কিন্তু একদম সকালে ও সন্ধ্যার সময়টাতে বেশি সংখ্যক মশা ঘরে প্রবেশ করে। এই সময়টায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার পর যা করবেন :
আলমারির পেছন, খাটের তলায়, ঘরের অন্ধকার কোণগুলোতে মশা বিশ্রাম নেয়। এই জায়গাগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুস্থ হওয়ার পর বেশি পরিশ্রমের কাজ করতে যাবেন না। বিশ্রাম নেয়া খুব দরকার। সময় মতো ঘুমাতে চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে যোগ না দিয়ে কিছুদিন শুধু বিশ্রাম নিন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। সারাদিনে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার শরীর আরো দুর্বল হয়ে যাবে।
খাবারের মধ্যে টক জাতীয় ফল যেমন লেবু, বেদানা, আমলকী, আমড়া অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও গমের রুটির বদলে জবের রুটি খেতে পারলে খুব ভালো।
এ সময়টাতে শরীর দুর্বল থাকে বলেই ডাবের পানি পান করতে পারেন। সারা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ডাবের পানি অবশ্যই পান করবেন। এটি পথ্য হিসাবে কাজ করবে। পাশপাশি বিভিন্ন মৌসুমী ফলের জুস পান করার চেষ্টা করুন।
তুলসী পাতা এবং মধু পানিতে গরম করে ফুটিয়ে সেই পানি খালি পেটে পান করবেন। ভাল উপকার পাবেন। এছাড়া পেঁপে পাতার রস এই রোগে দারুণ উপকারী। পেঁপে পাতা বেটে সেই রস পান করলে ভালো উপকার পাবেন। এর সঙ্গে জোষ্ঠি মধু খেয়ে নিবেন। আর প্রতিদিন একটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খাবেন।
সবশেষে বলা যায়, ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর পুনরায় জ্বর হলে অবহেলা করবেন না।
চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হন। তাহলে রোগ নির্ণয় করে ডাক্তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ