ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ধুমপায়ী ও ষাটোর্ধ্বদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি

প্রকাশনার সময়: ১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

ধূমপায়ী ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। সোমবার (১১ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন চিকিৎসকরা।

সেমিনারে বলা হয়, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকে বর্তমানে কিডনি রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত, হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়া, স্থূলতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণেও কিডনি রোগ হয়।

এসময় সেমিনারে কিডনি বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, প্রায় ১০-৩০ শতাংশ বা আরও বেশি নেফ্রাইটিসের কারণে, ২০-৩০ শতাংশ ডায়াবেটিসের কারণে এবং ১০-২০ শতাংশ কিডনি বিকল হয় উচ্চ রক্তচাপের কারণে।

এছাড়া বংশগত কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণে, কিডনিতে পাথর হলে, অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে এবং ওষুধের প্রভাবেও কিডনিজনিত রোগ হতে পারে।

৮০ ভাগ লোকের কিডনি নষ্ট হওয়ার পেছনে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনির বিভিন্ন সমস্যা)- এই তিনটি কারণ রয়েছে। সবার পক্ষে কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়ের যোগান দেওয়াও সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কিডনি রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোজান্না বিনতে কামাল।

কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুর সাত্তার, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ কাসেম, নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. রবিউল করিম।

চমেক হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা বলেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসকরা সাধারণত প্রথমেই রোগ নির্ণয় করার জন্য রোগীর রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন এবং ইলেকট্রোলাইটসহ অন্যান্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। রোগীর রক্তচাপ কম থাকলে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থাও জরুরি।

‘সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত না হওয়ার কারণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আরও খারাপের দিকে অগ্রসর হয়ে কিডনি ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং স্টেজিং এর দিক থেকে এটি শেষ পর্যায়ের কিডনি রেনাল ডিজিজ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।’

পরে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি চমেকের শাহআলম বীর উত্তম মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে চমেক হাসপাতালে এসে শেষ হয়।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ