লাল, সবুজ বা কালো যে রঙেরই হোক না কেন, আঙুর বলতে গেলে সবারই প্রিয়। ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও জুস, স্মুদি, জেলি, কাস্টার্ড, ফুড ডেকোরেশনেও আঙুর ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও আঙুরের বীজ থেকে তৈরি তেলও বেশ উপকারী। ফলটি আকারে ছোট কিন্তু এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ ছড়াতে দেয় না।
এর বাইরে আঙুরে মিলবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ফলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন, প্যানটোথেনিক এসিড, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, সি, ই ও কে। আরও রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্যারোটিনে ও ক্যারোটিন-বি। এবার তবে জেনে নেওয়া যাক নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর আঙুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
মাইগ্রেন ও আলজেইমার্স
স্তন ক্যানসার গবেষণায় দেখা গেছে, নীল-বেগুনি রঙের আঙুরের জুস স্তন ক্যানসার রোধ করে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা প্রতিদিন আঙুরের রস খাওয়ায় তাদের ব্রেস্ট টিউমারের আকার কমে গেছে অনেকগুণ।
দৃষ্টিশক্তি আঙুর চোখের জন্য খুব ভালো। এতে রয়েছে উচ্চমানের লিউটেইন ও জিজানথিন যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
অ্যান্টি-ব্যাকেটেরিয়াল লাল আঙুরে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপার্টিজ যা নানারকম সংক্রামক রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
ত্বক ও চুল 'ত্বকের বলিরেখা দূর করতে আঙুরের রস মুখে লাগিয়ে কুড়ি মিনিট মাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আঙুরের বীজের তেল মাসাজ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুর খেলে ত্বকের লাবণ্য বাড়ে। এছাড়াও চুলের খুশকি তাড়াতে আঙুরের বীজের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আঙুরের জুস হজমে সহায়ক, কোলেস্টেরল কমায় ও কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। আঙুর ফুসফুসের আর্দ্রতার স্তরকে ঠিক রাখে বলে এটি অ্যাজমার ভালো ওষুধ।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ