ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে অভ্যাসে মিলবে মানসিক সুস্থতা

প্রকাশনার সময়: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৩৮ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৪০
ফাইল ছবি

আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা এটাই শিখিয়ে এসেছেন। আজও তারা বলে থাকেন, সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়তে। সত্যিই সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কেননা সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেহ-মন সতেজ থাকে। যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তারাই কেবল জানেন ওর উপকারিতা।

আসুন জেনে নিই সকালে ঘুম থেকে ওঠার সুফল-

১. অধিক কাজের সুযোগ: সকালে উঠলে কাজকর্ম সকাল সকাল শুরু করতে পারবেন। কর্মঘণ্টা বেশি পাবেন। কাজের গতি বেড়ে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কোনো ব্যক্তি ভোরে ওঠেন, তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাবেন, কাজে সময় নেন কম। কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অর্জনে অধিক পারদর্শী হন।

২. মানসিক সুস্থতা: সকালে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুফল হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। যখন কেউ সকালে ওঠেন, তখন কাজের তাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়। ইতিবাচক বার্তা দিয়ে দিন শুরু হয়। সারা দিন এই ইতিবাচক মনোভাব চলতে থাকে।

৩. ঘুম ভালো হয়: কথায় বলে, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা মানে সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া। অনিয়মিতভাবে সকালে ওঠার চেয়ে এটি নিয়মের মধ্যে ফেলতে পারলে সবচেয়ে সুবিধা। এতে ঘুম ভালো হয়। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহঘড়ি ঘুমের নতুন সময় ও সকালে ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেবে।

৪. পরীক্ষার ফল ভালো হয়: গবেষণায় দেখেছেন, যারা সকাল করে ঘুম থেকে ওঠে, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে। ঘুমের মান ভালো হওয়া ও কাজের উৎপাদনশীলতার সঙ্গেও একে যুক্ত করা যায়।

৫. জীবন সুখের হয়: সকালে উঠলে জীবন সুখের হয়। জীবনে ইতিবাচক দিক বাড়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তারা বেশি সুখী হন। এই সুখ স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং সারাটা জীবন ধরেই সুখ ছুঁয়ে যায়।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ