বাংলাদেশে গত তিন দশকে থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্তের হার ২০০ গুণ বেড়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির জাতীয় কনফারেন্সের বৈজ্ঞানিক সেশনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সম্মেলনে আলোচকরা বলেন, পরিবেশ দূষণ, রেডিয়েশন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ছে এ ক্যানসারের হার। এ ছাড়াও থাইরয়েডের হরমোনের অস্বাভাবিকতায় মানসিক অবসন্নতা, বন্ধ্যাত্ব, অস্বাভাবিক গর্ভপাত, ত্রুটিপূর্ণ শিশু জন্মদানের হার বাড়ছে।
তারা বলেন, শ্বাসনালীর চারপাশে আবৃত প্রজাপতি আকৃতির বিশেষ এই গ্রন্থি থেকেই হরমোন নিঃসৃত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এ গ্রন্থির কারণে মানসিক অবসন্নতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়।
সেমিনারে অংশ নিয়ে থাইরয়েড ও গর্ভপাতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসের (নিনমাস) অধ্যাপক ডা. ফাতিমা বেগম।
তিনি জানান, থাইরয়েড সমস্যার কারণে একাধিক গর্ভপাতে ঘটনা ঘটে। এ ক্ষেত্রে আয়োডিনের ভূমিকা অনেক বেশি বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সাইন্টিফিক সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা বলেন, থাইরয়েডের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব পড়ে। এমনকি হাসপাতালের ৭০ শতাংশের বেশি রোগীই থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত।
থাইরয়েডের ঝুঁকি কমাতে প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার থাইরয়েড স্কিনিংয়ের পরামর্শ দেন সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল বারি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ