চিনির স্বাদ যত মিষ্টি হোক আর খেতে যতই ভালোবাসেন না কেন, চিনি আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেকথা তো আমরা সবাই জানি। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে নানারকম অসুখ বাসা বাঁধে খুব সহজেই। তবে চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কেননা, চিনিকে সাদা বিষ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত চিনি খেলে সুগার, কোলেস্টেরল, ওবেসিটি থেকে শুরু করে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পুষ্টি বিজ্ঞানীরা চিনি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
পুষ্টির ঘাটতি মেটায়
গুড় শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, তামা, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, সি, বি, ই জাতীয় পুষ্টি এবং খনিজ রয়েছে, যা আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
গুড়ের গুণাগুণের শেষ নেই
অতি পরিচিত গুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-সহ একাধিক জরুরি খনিজ ও ভিটামিন। তাই নিয়মিত গুড় খেলে লাং থাকবে সুস্থ-সবল, বাড়বে এনার্জি এবং কমবে স্ট্রেসের প্রকোপ। এমনকি এই মিষ্টি খাবারে কিছুটা পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে সাহায্য় করবে বৈকি!
সমস্যার অপর নাম চিনি
চিনি কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আসলে চিনিতে প্রচুর পরিমাণে সুক্রোজ থাকে যা কিনা রক্তে দ্রুত গতিতে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজেও চিনির জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, চিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি যা কিনা ওজনের কাঁটাকে ঊর্ধ্বমুখী করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সুস্থ থাকতে যত দ্রুত সম্ভব এর থেকে দূরত্ব তৈরি করুন।
চিনি না গুড়, কোনটা উপকারী?
যেকোনো সুস্থ-সবল ব্যক্তি চিনির পরিবর্তে গুড় খেতেই পারেন। আর এই কাজটা করতে পারলে যে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য। এমনকি নিয়মিত গুড় খেলে শরীরে খনিজ ও ভিটামিনের ঘাটতিও পূরণ হবে। তবে কোনো মতেই দিনে ৫০ গ্রামের বেশি গুড় খাবেন না যেন। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
ডায়াবেটিস রোগীরা গুড় খেতে পারবে কিনা?
যদিও গুড়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অবাধে খেতে পারবেন এমন নয়। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিস রোগীরা গুড় খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাপ জেনে খেতে হবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ