ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী বেশি

প্রকাশনার সময়: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৭:০৫
ফাইল ছবি

রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়েছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু। তবে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে রোগী সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোববার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিষয়ক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২২ জুলাই সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে রাজধানী ভর্তির রোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৩৯ জন। অর্থাৎ ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে বেশি রোগী হাসপাতালে এসেছে।

এলাকাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলি, জুরাইন, ধানমন্ডি এবং বাসাবো এলাকায় আক্রান্তের হার বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও এবং বাড্ডা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।

সংক্রমণ ডেঙ্গু রোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাসা বাড়িতে জমানো পানি তিনদিনের বেশি রাখা যাবে না। দিনে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ছোটবড় সকলকেই সর্বোচ্চ শরীর ডেকে রাখে এমন কাপড় পড়তে হবে। বর্তমানে রোগীর জ্বর থাকলে ডেঙ্গু পরীক্ষা এনএস-১ করাতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইনে ১৬২৬৩ তে পরামর্শ দেওয়া হবে।

কারা হাসপাতালে ভর্তি হবে জানিয়ে বলা হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সকল রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। যদি বিপদ চিহ্ন থাকে তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। বিপদ চিহ্নের মধ্যে রয়েছে— পেটে ব্যথা, অত্যধিক পানি পিপাসা থাকা, ঘনঘন বমি বা বমি বন্ধ না হওয়া, রক্ত বমি বা কালো পায়খানা হওয়া। অনেক রোগীর দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়, কারো কারো ছয় ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হলে তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়া প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট ও অত্যধিক শারীরিক দুর্বলতা অনুভব, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে গেলে হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়া গর্ভবতী মা ও শিশু, ডায়াবেটিস ও দুরারোগ্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

বিপদ চিহ্ন ছাড়া বাকিরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেসব ডেঙ্গু রোগী মুখে পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে পারেন, প্রতি ছয় ঘণ্টায় প্রস্রাব হয় এমন রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে বাড়িতে থাকলেও তাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় তাদের পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন। স্বাভাবিক খাবারের সাথে পর্যাপ্ত লবণযুক্ত তরল যেমন— স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি পান করতে হবে।

ওষুধের ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডেঙ্গুতে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। পূর্ণ বয়স্কদের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ মিলিগ্রামের ৬টি ট্যাবলেট এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে পারবেন। জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানিতে সরাসরি শরীর মুছে ফেলুন। এতে প্রতিকার পাওয়া যায়।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ