চীনে দুই সপ্তাহ আগে ‘জিরো কোভিড নীতি’ তুলে নেয়ার পর রেকর্ড হারে বেড়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ।
এমন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব পড়বে, তার ওপর চোখ রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ চীনের করোনার সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। ঘোষণা অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি থেকে এ বিধি আর কার্যকর থাকবে না। এই ঘোষণা আসার পর থেকে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। করোনার সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে, সে জন্য ভারত ও জাপান সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের করোনার সংক্রমণ ঘিরে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাই তাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানও চীনে নতুন করে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে শূন্য করোনা নীতির আওতায় চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি ওই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন দেশটির অনেক শহরের বাসিন্দা। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় দেশটির সরকার। তার পর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে চীন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ