বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এ বিপর্যস্ত চীন। ইতোমধ্যেই ভারতসহ বিশ্বের ৯১টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।
তবে নতুন উপধরন নিয়ে শঙ্কায় ফেলছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে শনাক্ত হওয়া। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে মনে করছে সরকার। এ জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে হাসপাতাল প্রস্তুত রাখাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এ ছাড়াও বৈঠকে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, সম্প্রতি ভারতে অমিক্রনের নতুন ধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। যেটিতে চীনেই ২৫ কোটির মতো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতেও এটির বিস্তার ঘটছে। তবে এটি কতটা ভয়ংকর সে ব্যাপারে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যারা এখনো ভ্যাকসিনের বাইরে তাদের কিছুটা শঙ্কা আছে। এ জন্য যারা এখনো টিকা নেননি, দ্রুত তাদের টিকা নেয়া উচিত। একই সাথে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ শুরু হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই এটি নেয়া উচিত।
এ সময় সরকারের করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ সহিদুল্লা বলেন, এই মুহূর্তে শঙ্কিত নয়, সতর্ক হতে হবে। যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার মতো বিশ্বব্যাপী সেই পরিস্থিতিও নেই। কিন্তু হাত ধোয়া, মাস্ক পরার বিষয়টি মানুষ মনে হয় ভুলে গেছে। সাধারণ মানুষকে আবারো তা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ