ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
স্বপ্ন বিশ্বভ্রমণ

পায়ে হেঁটে জয়পুরহাটে নেপালি তরুণ

প্রকাশনার সময়: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ১৯:১৭ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২৫
ছবি - সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পথে হাঁটছেন এক বিদেশি তরুণ। মানুষ আগ্রহ ভরে দেখছে তাকে। তিনিও পথ চলতে চলতে থামছেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। হাসছেন। জানা গেল, তিনি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়েছেন। এর মধ্যে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশে।

ভিনদেশি তরুণ

তরুণের বাড়ি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থাপাথালি গ্রামে। নাম ইহ। ২৭ বছর ছুঁইছুঁই। ২৩৫ দিন আগে নিজ দেশ থেকে যাত্রা করেছেন। ৫ হাজার ৪৮৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পৌঁছান বাংলাদেশে ।

মনে ধরেছে ছায়াঘেরা গ্রাম

১৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শাহপরী দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পাহাড়, নদী, মহাসড়ক, রাজপথ, উঁচু-নিচু মেঠো পথ পাড়ি দিয়ে ৭৩৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে বগুড়া হয়ে কালাই উপজেলার মোলামগাড়ি পৌঁছান। পথে পথে সবুজ শস্যখেতে, মেঠো পথ, ছায়াঘেরা গ্রাম বেশ মনে ধরেছে ইহর।

পায়ে হেঁটে ১৩ হাজার কিলোমিটার

ইহ জানান, ছেলেবেলা থেকে তার ভ্রমণের নেশা। এজন্য স্কুল ছেড়েছেন ১৪ বছর বয়সে। নিজের দেশের তুষার আবৃত হিমালয়, সবুজ পাহাড় আর সমতল ভূমিতে পায়ে হেঁটে ঘুরতে ঘুরতে স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিশ্বভ্রমণের। ২০১৫ সালে পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন নিজের দেশ থেকেই। প্রায় এক বছর পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন নেপালের বিভিন্ন অঞ্চল। পরে ভারতের কারগিল থেকে কন্যা কুমারী, কারাকোরাম থেকে ভারত মহাসগর পর্যন্ত হেঁটেছেন। একা একা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন শ্রীলঙ্কাও। সব মিলিয়ে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

বাঙালির আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ।

ইহ জানান, ‘পথে পথে সবুজ ফসলের মাঠ দেখে আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। গ্রামের হাটবাজারগুলোতে অনেকেই আমাকে দেখে আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে আসছেন। চা-বিস্কুট খাওয়ার আমন্ত্রণও জানাচ্ছেন। গ্রামের মাঠে কাজ করা কৃষকেরাও তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন, হাসিমুখে কথা বলছেন। স্থানীয় লোকজনই আমার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। বাঙালির আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ।

ইহর ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন তার বন্ধু হোমায়েদ ইসহাক - ছবি - সংগৃহীত

সঙ্গে আছেন মুন

তরুণের সঙ্গী হয়েছেন ভ্রমণবিষয়ক আলোকচিত্রী ও লেখক হোমায়েদ ইসহাক মুন। মুন বলেন, আমি যখন এভারেস্ট বেজক্যাম্প ট্র্যাকে যাই তখন কাঠমান্ডুতে ইহর সঙ্গে দেখা হয়। এরপর তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর পরিকল্পনা করলাম ওর সঙ্গে আমিও হাঁটব কিছু সময়। পুরোটা হয়তো আমি পারব না। ও টেকনাফ থেকে শুরু করেছে। আমি ওর সঙ্গে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে যুক্ত হয়েছি। ওর সঙ্গে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আজকে ২৬তম দিন আমরা জয়পুরহাটে পৌঁছে গেছি। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব বলে আশা করছি।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ