ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেতে পারেন মহেশখালী, যা দেখবেন

প্রকাশনার সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪১ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৯
ছবি - সংগৃহীত

মহেশখালীর গোরখঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় আদিনাথ মন্দির। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পায় ৮৫ মিটার উচ্চতায় মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ১০.৫০ মিটাকক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ৩৬২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মহেশখালী দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পার্বত্য দ্বীপ। দ্বীপটি পান, মাছ, শুটকি, চিংড়ি, লবণ ও মুক্তার উৎপাদনের কারণে বিখ্যাত। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ মিষ্টি পান। মহেশখালীর পানের সুনাম আছে দেশজুড়ে।

যা আছে এখানে

মহেশখালীর আদিনাথ মেলার কথা অনেকের জানা। প্রতি বছরের ফাল্গুন মাসে এই দ্বীপে আদিনাথ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেখতে সারাদেশ থেকে লোকজন আসে। এছাড়াও এখানে আছে-

১। সোনাদিয়া দ্বীপ

২। আদিনাথ মন্দির ও আদিনাথ মেলা

৩। বৌদ্ধ কেয়াং বা মন্দির

৪। রাখাইন পাড়া

৫। স্বর্ণ মন্দির

৬। মৈনাক পর্বত

আদিনাথ মন্দির - ছবি সংগৃহীত

যেভাবে ঘুরবেন

কক্সবাজার ৬ নং জেটি ঘাট থেকে স্প্রিডবোট বা ট্রলার যোগে যাবেন মহেশখালী ১ নং জেটিতে। জেটি ধরে সোজা সামান্য পশ্চিমে মহেশখালী বাজার। বাজারে প্রবেশের আগেই সড়কের বাঁ পাশে মহেশখালী বড় বৌদ্ধ কেয়াং বা মন্দির। এর ভেতরে আছে বেশ কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ, মাথায় হাতে শায়িত বুদ্ধ এবং দণ্ডায়মান বুদ্ধ ইত্যাদি। পথে যেতেই চোখে পড়বে পানের বরজ। বৌদ্ধ মন্দির থেকে বেরিয়ে সরাসরি যাওয়া যাবে স্বর্ণমূর্তি দেখতে। তারপর শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দিরে চলে যান। পাহাড় বেয়ে যেতে হবে মৈনাক পাহাড়ে। মৈনাক পাহাড় থেকে ম্যানগ্রোভ বন, সমুদ্র এবং পুরো মহেশখালী দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের ঢালে পানের চাষ দেখা যায়।

আদিনাথ মন্দিরটির আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরের অংশ সবচেয়ে পুরনো। আদিনাথ মন্দিরের পাশেই অষ্টভূজা নামে আরেকটি বিগ্রহের মূর্তি আছে। উত্তরের অংশের প্রথম ভাগে বর্গাকারের দুটি পূজাকক্ষে আদিনাথ বাণলিঙ্গ শিবমূর্তি এবং অষ্টভূজা দুর্গামূর্তি রয়েছে। সামনের দিকের প্রবেশপথটি ধনুকাকৃতির।

মন্দির থেকে নেমে পাশের আরেকটি জেটি ধরে সমুদ্রের কাছে চলে যেতে পারবেন। কেওড়া, গোলপাতাসহ সুন্দরী গাছের মনোরম দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় লবণ চাষাবাদ করার জায়গা আর শুটকি পল্লীতেও ঘুরতে পারেন।

মিষ্টি পান বাগান - ছবি - সংগৃহীত

মহেশখালী যাবেন যেভাবে

কক্সবাজার কলাতলী সুগন্ধা বা লাবণী পয়েন্ট ৬ নং জেটি ঘাট আসার পর স্প্রিডবোটে করে মহেশখালী ১ নং জেটি ঘাট যেতে হবে। স্প্রিডবোটে ৭৫ টাকা ভাড়া। এছাড়া নৌকা বা লঞ্চে জনপ্রতি ৩০ টাকায় প্রায় এক ঘণ্টায় মহেশখালী যাওয়া যায়। ঘাটে নেমে অটোরিকশা রিজার্ভ নিতে পারবেন। দরদাম করে করে গাড়ি ঠিক করবেন। ৪০০-৫০০ টাকায় পাবেন। মহেশখালীর স্পটগুলো দেখতে খুব বেশি সময় লাগে না।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ