আকাশে বিজ্ঞাপন দেখানোর লক্ষ্যে বড় বিজ্ঞাপনী কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। ফ্যালকন ৯ রকেটে কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠাতে কানাডিয়ান স্টার্টআপ জিওমেট্রিক এনার্জি কর্পোরেশনের (জিইসি) সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ফ্যালকন ৯ রকেট চাঁদে যাওয়ার আগে কৃত্রিম উপগ্রহটিকে পৌঁছে দেবে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট বলছে, স্পেসএক্সের ওই কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে আকাশে নিজ প্রতিষ্ঠানের লোগো ও অন্যান্য প্রচারণা কন্টেন্ট দেখাতে পারবেন আগ্রহী বিজ্ঞাপনদাতারা।
কৃত্রিম উপগ্রহটিকে ২০২২ সালে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছেন জিইসি –এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী স্যামুয়েল রেইড। এর পর্দায় পিক্সেল স্থাপন ও নকশা করার জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টোকেন কিনতে হবে।
পিক্সেল সংশ্লিষ্ট পাঁচটি টেকেন কেনা যাবে: পর্দায় বিজ্ঞাপন স্থাপনের জন্য বেটা ও রো, রং ও উজ্জ্বলতার জন্য গামা ও কাপা এবং সময়সীমার জন্য এক্সআই। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে কেনা যাবে টোকেনগুলো।
এ উদ্যোগ প্রসঙ্গে রেইড বলেছেন, আমি এমন কিছু অর্জনের চেষ্টা করছি যা মহাকাশ প্রবেশাধিকারকে গণতান্ত্রিক করে তুলবে এবং বিস্তৃত অংশগ্রহণের অনুমোদন দেবে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি, মানুষ অনুপযুক্ত, অপমানজনক বা আক্রমণাত্মক কোনো কিছুর পেছনে অর্থ খরচ করবেন না।
এমন প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে যারা নিজেদের লোগো ফুঁটিয়ে তুলতে চাইবেন… বা এটি হয়তো আরও ব্যক্তিগত বা শৈল্পিক কোনো কিছু হয়ে দাঁড়াবে। হয়তো কোকা-কোলা ও পেপসি নিজেদের লোগো নিয়ে এবং একে অন্যের উপর জিততে লড়াই করবে।
বিজ্ঞাপনগুলো কতোটা বড় হতে পারে বা কয়টি বিজ্ঞাপন একই সময়ে দেখানো যাবে তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় পুষ্প ও জীব বৈচিত্র্যে উজ্জ্বল বিজ্ঞাপনের কী প্রভাব পড়বে বা এর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির বিষয়গুলোও এখনও অজানা। এ ব্যাপারে ইনডিপেনডেন্টের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি জিইসি বা স্পেসএক্স।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ