মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

যেসব দেশে ফেসবুক ব্যবহার করা অপরাধ

প্রকাশনার সময়: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩১

ফেসবুক হলো মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। তবে কিছুক্ষণ ফেসবুক থেকে দূরে থাকলেই কেমন হাঁসফাঁস লাগে অনেকের। সেখানে গত ১০ দিনের বেশি সময় ফেসবুক থেকে দূরে আছেন দেশের মানুষ। অনেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন ফেসবুক স্ক্রল করতে না পেরে।

তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এসব দেশে লুকিয়ে ব্যবহার করতে গেলেও কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়। সে দেশের কেউ ব্যবহার করেন না এই প্ল্যাটফর্মটি।

জিনজিয়াং প্রদেশে মারাত্মক দাঙ্গার পর কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মেটার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ও এর ফটো এবং ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামও নিষিদ্ধ পূর্ব এশিয়ার এই দেশে।

ইরান

২০০৯ সালে দেশটির নির্বাচনে বিতর্ক উঠলে গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে ইরানে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও কিছু ব্যবহারকারী ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাক্সেস করে থাকেন। তবে, সেদেশের সরকার ভিপিএন-এর ব্যবহারও আইনত অপরাধ ঘোষণা করে। লুকিয়ে কেউ পশ্চিমা এই সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে ধরা পড়লে তাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।

উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালে ফেসবুক ব্লক করে এবং ঘোষণা করে যে, কেউ ‘অনুপযুক্ত’ উপায়ে ফেসবুক অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে বা এর থেকে ‘প্রজাতন্ত্রবিরোধী ডেটা’ বিতরণ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।

তুর্কমেনিস্তান প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বাধীন রাষ্ট্র মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তান সরকারও ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে। ফেসবুক ব্লক করার পাশাপাশি তুর্কমেনিস্তানে হোম ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সাইন আপ করার সময় পবিত্র কোরআনের শপথ নিতে বলা হয়। শপথ করানো হয় যে, তারা ভিপিএন অ্যাক্সেস করবে না। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ সাইটগুলিতে অ্যাক্সেস করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে হয়।

কিউবা দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু এটি অ্যাক্সেস করা খুব কঠিন। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ, কিছু সাংবাদিক এবং মেডিকেল স্টুডেন্টরা তাদের বাড়ি থেকে আইনত ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। অন্য সবার জন্য অনলাইন জগতের সঙ্গে আইনিভাবে সংযোগ করার একমাত্র উপায় হল ইন্টারনেট ক্যাফে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ