বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি কোনো বিজ্ঞাপন দেয়া যাচ্ছে না ফেসবুকে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো বলছে, ডলার সঙ্কটসহ নানান কারণে ফেসবুক পাওনা বুঝে পায়নি। ফলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়।
ফেসবুকের মনিটাইজড হওয়া পেইজ বা প্রোফাইলে কোনো ভিডিও, লাইভ কিংবা রিল দেখার সময় সাধারণ বিজ্ঞাপন ভেসে ওঠে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব বিজ্ঞাপনগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে।
বিজ্ঞাপনের অর্থ ফেসবুক বুঝে পায় এইচটিটিপুল নামের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, হিসেব বলছে বাংলাদেশে ফেসবুক বিজ্ঞাপনের বাজার শতকোটি টাকার বেশি।
সমস্যার শুরু গতবছর জুলাইয়ের পর থেকে। ফেসবুক ঘোষণা দেয় বাংলাদেশে তারা বিজ্ঞাপনের সীমা কমিয়ে দিচ্ছে অন্তত ৮০ শতাংশ। কারণ, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করলেও তারা পাওনা অর্থ পাচ্ছেন না। অথচ বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো ঠিকই ফেসবুককে পেমেন্ট করছে। তাহলে?
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকটে, ফেসবুককে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। সেই ধারায় নতুন বছর ফেসবুক আর কোনো বিজ্ঞাপন নিচ্ছে না।
এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম বলেন, এইচটিটিপুলের একটা বড় টাকা রেমিট না হওয়া পর্যন্ত ফেসবুক আর বিজ্ঞাপন চালু করবে না। বিকল্প উপায়ে অনেকে এখন এটা করার চেষ্টা করছে।
সিস্টেমআই টেকনোলোজিস লিমিটেডের সিইও রাসেল আহমেদ বলেন, ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়া আমরা বন্ধই করে দিয়েছি। যখন এইচটিটিপুল অ্যাকাউন্ট দিতে পারছে না বা ডলার দিতে পারছে না, তখন বাংলাদেশের অনেক ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। যারা কোনো না কোনো মাধ্যমে বাইরে থেকে বৈধ বা অবৈধভাবে অ্যাকাউন্টগুলো আনছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশে ডলার পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। বিজ্ঞাপন নিয়ে এমন জটিলতা থাকার কথা নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কিছু ডকুমেন্টসের ব্যাপার থাকে, সেটার কারণে অনেক সময় দেরি হতে পারে।
এআই দক্ষতা বাড়াতে ইউরোপে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দেবে গুগলেরএআই দক্ষতা বাড়াতে ইউরোপে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দেবে গুগলের
এই বাস্তবতায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেবার জন্য হুন্ডির মতো অবৈধ পথে টাকা পাঠাতে পারে অনেকেই। যাতে করে সরকার বিপুল রাজস্ব বঞ্চিত হবে বলে শঙ্কা বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী বৃদ্ধিতে শীর্ষ ৩ দেশের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ