ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বালু আর জিপসামের মিশ্রণে তৈরি যে গোলাপ

প্রকাশনার সময়: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ২০:০৭
ছবি - সংগৃহীত

‘মরুর ধূলি উঠল রেঙে রঙিন গোলাপ-রাগে। বুলবুলিরা উঠল গেয়ে মক্কার গুলবাগে।’ এ ছাড়াও জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী স্ট্রিংয়ের ‘ডেজার্ট রোজ’ গানটি হয়তো অনেকেরই শোনা। তবে শুধু গানেই নয়; বরং বাস্তবেও মরুভূমির গোলাপ বা ‘ডেজার্ট রোজ’ রয়েছে। গোলাপের মতো দেখতে এই বস্তুটি আসলে জিপসামের তৈরি একটি প্রাকৃতিক স্ফটিক। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালির কণা নিয়ে গঠিত হয় এই মরুভূমির গোলাপ। পাথরের এই গোলাপ ছোট থেকে শুরু করে বিশাল আকারের হতে পারে। খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বিশাল গোলাপটি ছিল ৯৯ সেন্টিমিটার লম্বা ও ওজনে প্রায় ৪৫৪ কিলোগ্রাম!

কাতারেও এই গোলাপ রয়েছে। কাতারের এই মূল্যবান সম্পদের নাম হচ্ছে ‘ডেজার্ট রোজ’ বা ‘মরুভূমির গোলাপ’। এই ডেজার্ট রোজের জন্যও কাতারকে আলাদাভাবে চেনে পৃথিবী। এ গোলাপকে স্যান্ড রোজ (বালুর গোলাপ) এবং রোজ রক (গোলাপ পাথর) নামেও ডাকা হয়।

কাতারে ডেজার্ট রোজের আদলে তৈরি জাদুঘর

এটি কাতারের বসবাসের এলাকা থেকে অনেক দূরে মরুভূমির বুকে পাওয়া যায়। ডেজার্ট রোজ আসলে কোনো গোলাপ ফুল নয়। কাতারের অনুর্বর বালু আর জিপসামের মিশ্রণে যে পাথর তৈরি হয় সে পাথরগুলো পাশাপাশি মিলে গিয়ে গোলাপের পাপড়ির আকার ধারণ করে। আর সব পাপড়ি মিলে যে আকার দাঁড়ায় তা দেখতে গোলাপ ফুলের মতো। পুরো ব্যাপারটিই ঘটে প্রাকৃতিকভাবে। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর পাপড়ি। যেহেতু বালুতে পাওয়া যায় তাই পাপড়িগুলোর চারপাশও বালুময় থাকে। বালু সরালে এর প্রকৃত সৌন্দর্য চোখে পড়ে। পাপড়িগুলো আলো প্রতিফলিত করে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসব রোজ বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ