শারদীয় দুর্গাপূজা। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যই খুব বড় উৎসব। যা ঈঙ্গিত করে অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়। পাঁচদিন ধরে চলে বাঙালির এই দুর্গাপূজা। বাড়িতে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া, হই-হুল্লোড়ের পাশে ছোট-বড়ো মণ্ডপগুলোতে ভিড় জমে প্রতিমা দর্শনের জন্য। পূজার আনন্দকে রঙিন করতে থাকে বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম আয়োজন।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে বিশেষ নজর কাড়ে বাঙালিয়ানা মুখরোচক খাবার-দাবার। যারা নানা কারণে বাঙালিয়ানা মুখরোচক খাবার-দাবার নিজেদের বাড়ি আয়োজন করতে পারেন না কিংবা পূজার আনন্দে অন্যরকম খাবারের স্বাদ নিতে চান তাদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্ট খাজানা।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘ওপার বাংলার খাবার’ শিরোনামে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এটি উপভোগ করা যাবে আগামী ১ অক্টোবর (শনিবার) থেকে ৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত দুপুর ও রাতের বেলায়। যেখানে মিলবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের আসল খাবারের স্বাদ।
খাজানা রেস্টুরেন্টের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অভিষেক সিনহা জানালেন, পূজাতে বাঙালিয়ানা খাবার-দাবার থাকবে না এটা তো হতে পারে না। তাই এবার ভোজনরসিকদের আদি বাঙালির খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। উৎকৃষ্ট উপাদান দিয়ে রান্না করা ১২-১৪ রকমের মুখরোচক পদ পরিবেশন করা হবে আলাকার্ট পদ্ধতিতে।
খাবারগুলোর মধ্যে থাকবে লুচি, আলু দম, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, মাটন-ডিমের ডেভিল, গোলবারি কষা মাংস, ইলিশ বিরিয়ানি, ডাব চিংড়ি, লেবু লঙ্কা মুরগির ঝাল, ভেটকি মাছের পাতুরি, ডোকার ডালনা, কাজু কিশমিশ পোলাওসহ আরও অনেক কিছু। মিষ্টান্নের মধ্যে থাকবে রাবড়ির মালপোয়া ও মিষ্টি দই।
সিনহা জানান, পূজার সাথে মিষ্টান্নের এক রকম যোগসূত্র রয়েছে। মিষ্টি ছাড়া পূজা হয় না, আনন্দ জমে না। সে জন্য খাজানার মিষ্টির আউটলেটে পাওয়া যাবে দই-ফিরনি, গোলাব জামুন, সন্দেশসহ ২০-২৫ রকম মিষ্টান্ন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ