ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নিরাপদ বাইকিং নিয়ে কাজ করছে রাহাত

প্রকাশনার সময়: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৩৮

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু যেনো স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠছে দিন দিন। রোজই মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেয় তাজা প্রাণ, শেষ হয় অমিত সম্ভাবনা। অধিকাংশই জানে না সেফটি সম্পর্কে। এই জায়গাটা নিয়ে কাজ করছেন তরুণ তুর্কী রাহাত হোসেইন।

২০১৪ সালে নোয়াখালীর মানুষ পরিচিত হয় অভিনব এক জিনিসের সাথে। ‘বাইক স্ট্যান্ট’ পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘বাইক স্ট্যান্ট’ তুমুল জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে অতটা নয়। নোয়াখালী জেলার বাইকপ্রেমীরা ধন্যবাদ দিতে পারে রাহাতকে।

‘নোয়াখালী রাইডার্স- এনআরজেড’ নামের বাইকিং কমিউনিটি তৈরি করেছেন, এর আদলেই সবাই তাকে চেনে ‘রাহাত এনআরজেড’ নামে। নানান ঝামেলায় মাঝে গতি থামে কিছুটা। কয়েক বছর বিরতি দিয়ে আবার পুরোদমে শুরু করেন কাজ। ৯ জন নিয়ে শুরু করা টিমের সদস্য এখন প্রায় ৯০০ জন।

রাহাত সবসময় নজর দিতে চেয়েছেন ভিন্নতায়। চেয়েছেন নতুনত্বের সাথে মানুষকে পরিচিত করাতে। নোয়াখালী রাইডার্স শুধু রাইডিং ও স্ট্যান্টে সীমাবদ্ধ নেই। তারা কাজ করছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমানো ও চালানো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে। ট্রাফিক রুলস মেনে চলা, হেলমেটসহ বিভিন্ন সেইফটি গিয়ারগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা, গতির ভারসাম্য বজায় রাখা- এমন বিষয়গুলোতে জোর দিচ্ছে রাহাতের টিম।

রাহাত বলেন, ‘মোটরসাইকেল সবখানেই জনপ্রিয়। বিশেষত তরুণদের কাছে। কিন্তু অধিকাংশই বেপরোয়াভাবে ড্রাইভ করে। নিয়মের তোয়াক্কা করে না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। সেটি কমানোর জন্যই কাজ করে চলেছে নোয়াখালী রাইডার্স। তাছাড়া বাইক স্ট্যান্ট এক প্রকার স্পোর্টস। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী হওয়া থেকে আটকানো যাবে।’

দুর্ঘটনা কমানো, সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি রাহাত কাজ করছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে। অসহায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী। এছাড়া রাইডার্সের সদস্যরা নিয়মিত রক্তদান করছে।

রাহাতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নোয়াখালীতে। নোয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র রাহাত বাইকিং ছাড়াও ই-স্পোর্টসের সাথে যুক্ত আছেন অনেকদিন ধরে। এনআরজেড ই-স্পোর্টস নামে তার রয়েছে একটি গেমিং কমিউনিটি, যারা ইতোমধ্যেই বেশকিছু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে রাহাত আত্মপ্রকাশ করেন এই সেক্টরে।

রাহাত স্বপ্ন দেখেন, তরুণ প্রজন্ম বদঅভ্যাস দূর করে সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে। তিনি এমন স্বপ্ন দেখতেই পারেন। যে পথে হাঁটছেন, তারুণ্যের জন্য ভালো কিছু বার্তা বয়ে আনবেন নিঃসন্দেহে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ