নারী-পুরুষের চার হাত এক করার সামাজিক রীতি হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ বৈধভাবে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই বিয়ে নিয়ে আমাদের দেশে যেমন আছে নানা রীতি; তেমনই তা দেশ এবং স্থানভেদে আলাদা।
আমাদের দেহে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয় কনে দেখার মধ্য দিয়ে। এরপর আংটি বদল। গায়ে হলুদ, মেহেদি, বিয়ে, বউভাতসহ আরও কত আয়োজন। তবে বিশ্বের অনেক দেশে বিয়ের এ আয়োজন শুরু হয় বিভিন্ন রীতি মেনে। যেমন চীনাদের কথাই ধরুন না। তারা বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে এক মাস আগে থেকেই।
বিয়ের কনে এক মাস আগে থেকেই কাঁদতে শুরু করেন। রোজ এক ঘণ্টা করে কাঁদতে হবে তাকে। আমাদের দেশে যেমন বিয়ের পর কনে বিদায়ের সময় কাঁদেন। তেমনই চীনা নারীরা এ কান্না শুরু করেন এক মাস আগে থেকেই।
চীনে বিয়ের আগে পালন করা হয় কান্না উৎসব। বিয়ের এক মাস আগে থেকে শুরু হয় এ উৎসব। আর কান্নায় কনের সঙ্গে যোগ দেন আত্মীয়-স্বজনরাও। চীনের তুইজা গোষ্ঠীর মেয়েরা এ রীতি পালন করেন। বিয়ের ঠিক ৩০ দিন আগে থেকে তাদের প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা কাঁদতে হবে।
শুধু তাই নয়, বিয়ের দিন যতই ঘনিয়ে আসে; কান্নার দলের সদস্য সংখ্যা ততই বাড়তে থাকে। তারা বিয়ের ৩০ দিন আগে থেকে কান্নাকাটি শুরু করে বিয়ের প্রস্তুতি নেন। কনে ১০ দিন কান্নাকাটি করার পর তার সঙ্গে তার মা-ও যোগ দেন। আর তার ১০ দিন পরে কনের দাদি তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
এভাবে পরিবারের সব নারী সদস্য যোগ দেন। তারা দিনে এক ঘণ্টা করে কান্নাকাটি করেন। এটি তাদের কাছে কোনো কষ্টের কান্না নয় বরং এটি হচ্ছে গভীর ভালোবাসা ও খুশির কান্না। তারা সবাই গান গাওয়ার মতো সুর করে কান্না করেন। যা অন্য দেশের যে কোনো মানুষ শুনলে হয়তো গান গাইছে ভেবে ভুল করে বসতে পারেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ