ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাসপোর্টের আবেদন করবেন যেভাবে

প্রকাশনার সময়: ২৮ জুন ২০২২, ১৫:৫০

সবারই ইচ্ছে থাকে দেশ-বিদেশ ভ্রমণের। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুব সহজেই ঘোরাঘুরি করা গেলেও বিদেশ ভ্রমণের জন্য আপনার থাকতে হবে পাসপোর্ট। অনেকের বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও পাসপোর্ট না থাকায় সেই ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হয় না।

পাসপোর্ট হলো সরকার দ্বারা নাগরিকদের দেশের বাহিরে যাওয়ার বৈধ অনুমতি সংবলিত একটি বই। এখানে বিভিন্নও অ্যাম্বাসির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ভিসা লাগানো হয়।

পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া জটিল ভেবে অনেকে আবার পাসপোর্ট করতেও চান না। কিন্তু এই প্রক্রিয়া বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়।

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে। এগুলো হলো সবুজ মলাটের আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট, নীল মলাটের সরকারি পাসপোর্ট এবং লাল মলাটের কূটনৈতিক পাসপোর্ট।

সাধারণ মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করতে হয়। ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া অফিশিয়ালভাবে শুরু হওয়ায় এখন আর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির সুযোগ নেই।

শুরু থেকে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে বুঝে নিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হয় না। চলুন জেনে নেই, কীভাবে একটি বাংলাদেশ পাসপোর্ট তৈরি করবেন, এর প্রক্রিয়াগুলোই বা কী?

পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্টের প্রথম কাজ শুরু হয় পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্টের ফি দুই ভাবে জমা দেওয়া যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে চান তাহলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে। যদি আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে অনলাইনে আবেদন পক্রিয়া শেষে সেখান থেকেই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার অপশন আছে। পাসপোর্ট ফি বা খরচ কত তা নির্ভর করে কতদিনের ভিতর আপনি পাসপোর্ট পেতে চান তার উপর।

এম আর পি (MRP) পাসপোর্ট পাওয়ার জন্যে দুই ধরণের সুযোগ আছে। পাসপোর্ট ফি সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৪৫০ টাকা। সাধারণ পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে প্রায় ২১ দিন থেকে দেড় মাস। পাসপোর্ট ফি জরুরি ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৯০০ টাকা। আর্জেন্ট পাসপোর্ট পেতে আপনার সময় লাগতে পারে ৭ থেকে ১৫ দিনের মতো।

ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া

অফলাইনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের দ্বারা নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের টাকা জমা দিবেন এটা বললেই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্লিপ দিবে। স্লিপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপ সহ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা হবার পর একটি রশিদ পাবেন যার দুইটি পার্ট থাকে। এক পার্ট কাস্টমার কপি যা নিজের কাছে থাকবে আর আরেক পার্ট পাসপোর্ট অফিসের কপি যা পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের উপর আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

এখানে কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন –

* যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করাবেন সে এলাকার ব্যাংকের শাখায় টাকা জমা দেওয়া ভালো।

* স্লিপে যেভাবে নাম লিখবেন পাসপোর্টেও সেই একই নাম হবে তা না হলে পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে ঝামেলা হবে।

* টাকা জমা দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে তা না হলে ৬ মাস পার হলে আবার নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।

* মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও টুকে রাখুন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রিসিটে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকে যা পরবর্তীতে পাসপোর্টের ফর্মের জন্য কাজে লাগবে তাই রিসিটের নির্দেশনা গুলো ভালো ভাবে পড়বেন।

যে যে ব্যাংকে পাসপোর্ট করার টাকা জমা দিতে পারবেন তা হল-

সোনালী ব্যাংক ছাড়াও ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংকে আপনি পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।

তবে সোনালি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন। আর অন্যান্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন শেষে ফি জমা দেওয়া

অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে, www.passport.gov.bd এর সাইটে সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে শেষের দিকে বিভিন্ন ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে (যেমন ব্যাংকের কার্ড, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে) পেমেন্ট করতে পারবেন। আর খুব সামান্য কিছু চার্জ ব্যাংক তাদের ফি হিসেবে ( ৩-৫ টাকা) কেটে রাখে। এই ক্ষেত্রে টাকা পে করার পর একটি চালান ফরম পাবেন। এই ফরমটি এক পেজে দুইটা প্রিন্ট করে একটা নিজের জন্য ও অন্যটা পাসপোর্ট ফর্মের জন্য ব্যবহার করবেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকারী বিষয় হল প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরি করা। অনেক সময় পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পর দেখা যায় সব ডকুমেন্ট ঠিকভাবে রেডি করা নেই সেই ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক ঝামেলা হয় আর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেও দেরি হয়ে যায়। তাই পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার আগেই সব ডকুমেন্ট ঠিকমতো আছে কিনা তা চেক করে দেখা উচিত।

যে সব ডকুমেন্ট লাগবে পাসপোর্ট করার জন্য-

* পাসপোর্ট ফরম ২ কপি (তবে সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফরম)

* সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি

* ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সত্যায়িত কপি। তবে যাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেই বা ১৮ বছরের নিচে বয়স তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপির সত্যায়িত ফটোকপি। তবে বর্তমানে ১৮ বছর হলে অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে।

* পেশাগত সার্টিফিকেটের ফটোকপির সত্যায়িত কপি।

* সরকারী চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যক্তির কর্মস্থল থেকে ইস্যু করা এন ও সি (NOC-No Objection Certificate) বা জিও GO ( Govt. Order) জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ

দুই ভাবে পাসপোর্টের আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড বা সংগ্রহ করে নিজে নিজে হাতে পূরণ করে। অথবা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে।

অফলাইনে আবেদন ফরম পূরণ

এই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্টের ফরম চাইলে অফিস থেকে তা বিনামুল্যে দিয়ে দিবে, আবার www.passport.gov.bd এই লিঙ্কের Download Form অপশনে গিয়ে DIP Form 1 ফরম ওপেন করে PDF ফরম্যাটে ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন।

হাতে লিখে ফরম ফিল আপ করার সময় খুব সাবধানে করবেন তাই কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখলে ভালো তাতে লেখার সময় কাটাকাটি হলেও সমস্যা নেই। আর সব জায়গায় নিজের সাইন একই রকম দিবেন। এরপর সবার শেষে পেমেন্ট ইনফরমেশন এর জন্যে যে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে তার ব্রাঞ্চ (ব্রাঞ্চ না পেলে সেন্ট্রাল ব্রাঞ্চ দিতে হবে) ও জমা রিসিট নাম্বার দিতে হবে।

অনলাইনে ফরম পূরণ

www.passport.gov.bd এই সাইটে গিয়ে এগ্রিমেন্ট বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে কনটিনিউ টু অনলাইন এনরোলমেন্ট (Continue To Online Enrollment) এ ক্লিক করলে ফরম পূরণের পেজ চলে আসবে। এই ক্ষেত্রে সব তথ্য বারবার চেক করবেন আর নির্ভুল যেন হয় সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।

অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে ফি অনলাইনেই জমা দিতে পারবেন অথবা যদি অনলাইনে ফি জমা না দিতে চান তাহলে অফলাইন অপশন সিলেক্ট করে পূরণকৃত ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় অনলাইনে পাসপোর্ট করছে এমন অভিজ্ঞ কাউকে সাথে নিয়ে ফিল আপ করলে। তবে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই সাথে কেউ না থাকলেও নিজে নিজেও এই কাজ সহজেই করতে পারবেন তবে সাবধানে করতে হবে।

জেনে রাখা ভালো--

* সরাসরি পাসপোর্টের ফর্ম পাবেন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। তবে পাসপোর্ট অফিসে অনেক সময় ফর্ম শেষ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে পাশের ফটোকপির দোকানেও ফর্মের ফটোকপি পাবেন যা দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।

* এছাড়াও অনলাইনে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন DIP Form 1 এই লিংক থেকে।

* যেভাবেই পাসপোর্ট পূরণ করেন অবশ্যই ভাল মত তথ্য যাচাই, বানান ঠিকমতো দেওয়া, সঠিক তথ্য দেওয়া এই ব্যাপার গুলো খেয়াল রাখবেন। কোন কিছু ভুল হলে আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে।

পাসপোর্ট ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট কাগজ সত্যায়িত করা

ফর্ম ফিল আপ শেষ হলে পুরো ফর্মটি দুই সেট প্রিন্ট করে নিবেন। এক কপি পাসপোর্ট অফিসের জন্য ও আরেক সেট SB OFFICE এ পাঠানো হবে।

ফর্ম প্রিন্ট হলে ফর্মের ছবির জায়গায় পাসপোর্ট সাইজের একটি সদ্য তোলা ছবি লাগাতে হবে। আর দুই কপি ফর্মের যেকোনো একটাতে ব্যাংকের রশিদের পাসপোর্ট অফিসের কপিটা কেটে ডান পাশে লাগাতে হবে।

পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে, ছবি ও মানি রিসিট লাগিয়ে ফর্মের সাথে জন্ম নিবন্ধন বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পেশাগত সার্টিফিকেট ও নাগরিক সনদের ফটোকপির সত্যায়িত কপি পিন দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।

পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দেওয়া

ফরম হাতে পূরণ করলে নিজের বর্তমান ঠিকানা সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে হলে রিজিওনাল অফিস আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে হলে আঞ্ছলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে জমা দিলে ফরমেই লেখা থাকবে কোন অফিসে জমা দিতে হবে।

লাইনে দাঁড়িয়ে আপনাকে ফরম জমা দিতে হবে। প্রথমে এক কক্ষে আপনার সব তথ্য কম্পিউটারে এন্ট্রি করার পর অন্য কক্ষে তা রিচেক করে আপনার আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এরপর ডিজিটাল ডিসপ্লেতে স্বাক্ষর নেওয়ার পর আপনার ছবি নেওয়া হবে। তাই মার্জিত পোশাক পরে আপনার ফরমটি জমা দিতে যাবেন। পোশাকের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাদা রং টাকে এইদিন এঁড়িয়ে চলুন।

এবারে একটি টোকেন আপনাকে দেওয়া হবে। এখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারি তারিখ এবং আরও কিছু তথ্য থাকবে। সেগুলোর তথ্যগুলো ভালোভাবে একবার মিলিয়ে নিন। কেননা এখানে আপনার তথ্যে ভুল থাকলে আপনার পাসপোর্টেও ভুল আসবে। কোনো ভুল চোখে পড়লে সাথে সাথে তা পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের জানান। সর্বশেষ আপনার তথ্যগুলো ঠিক কিনা তা পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে যাচাই হয়ে গেলেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্টটি পেয়ে যাবেন।

ই-পাসপোর্টের আবেদন করবেন যেভাবে

ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে প্রথমে (www.epassport.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে (Directly to online application) ক্লিক করতে হবে।

প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে।

এছাড়াও যদি অধিদফতরের অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যে কোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর এখানে দিতে হবে। এরপর ফাইল সাবমিট করতে হবে। এর ফলে আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে। পরবর্তী ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

শেষ ধাপে ই-পাসপোর্ট প্রস্তুতের পর আবেদনকারীকে জানানো হবে৷ আবেদনকারী নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন।

কাগজের ফরম জমা

পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্টের কাগজের ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দিলেও মিলবে ই-পাসপোর্ট। কাগজের ফরমে আবেদনকারীর ৮৭ ধরনের তথ্য চাওয়া হবে। এমআরপি থেকে এই ফরম কিছুটা আলাদা। এই ফরমে পাসপোর্টের মেয়াদ (৫ বছর অথবা ১০ বছর) ও পাসপোর্টের পাতার সংখ্যা (৪৮ অথবা ৬৪) ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হবে।

এছাড়াও দুদিনের মধ্যে অতি জরুরি পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে আগেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনতে হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্টের ফরমে প্রি-পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর নম্বর ফরমে উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের সময় জমা দিতে হবে ক্লিয়ারেন্সের কপি।

একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে।

এছাড়াও ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা। সব ফির সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

এখন থেকে কোনো দালালদের দিয়ে এসব কাজ না করিয়ে নিজেই নিজের পাসপোর্টটি তৈরি করে ফেলুন। এতে অর্থও বাচবে ভোগান্তিও কমবে।

নয়া শতাব্দী/ এডি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ