ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আনারস পাতার ড্রোন

প্রকাশনার সময়: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৪:০২

টপ অ্যাঙ্গেলের ভিডিও রেকর্ডিংয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ড্রোন। বৈজ্ঞানিক রিসার্চ কিংবা যে কোনো এলাকার নজরদারিতে ড্রোন অপরিহার্য। সিনেমার শুটিং, প্রোডাক্ট ডেলিভারি, পার্টিতে ড্রোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এবার মালয়েশিয়ার একদল বিজ্ঞানী খুবই স্মার্ট পদ্ধতিতে ড্রোনের চিত্তাকর্ষক এক রূপ দিলেন।

মালয়েশিয়ান ওই গবেষকরা পরিত্যক্ত আনারসের পাতা রূপান্তরের মাধ্যমে এমনই অসাধারণ এক উপাদান তৈরি করেছেন, যা দিয়ে অনায়াসে ড্রোনের ফ্রেমস তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এটি সুদূরপ্রসারী ভাবনা। এটির দামও যেমন কম হবে, সেই সঙ্গে বস্তুটিও শক্তিশালী ও পরিবেশবান্ধব হবে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এই প্রজেক্ট যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার নাম মোহাম্মদ তারিখ হামিদ সুলতান। মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তিনি।

বিগত কিছু বছর ধরেই এই বিষয়ে রিসার্চ চালাচ্ছেন মহম্মদ তারিখ। রয়টার্সের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শুধু ড্রোনই নয়, আরো নানা ধরনের অ্যারোস্পেস অ্যাপ্লিকেশনেই আনারসের পাতা রূপান্তর করে একটি ফাইবারের রূপ দিয়ে এমনতর কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রফেসর।

তারিখ জানিয়েছেন, জৈব কোনো উপাদান থেকে তৈরি করা ড্রোন অনেকাংশেই সিন্থেটিক ফাইবার দ্বারা নির্মিত ড্রোনের তুলনায় শক্তিশালী। শক্তি, ওজন সব দিক থেকেই জৈব উপায়ে নির্মিত ফাইবারের ড্রোন সেরা। পাশাপাশিই সেগুলোর আবার ওজনও বেশ কম, খরচও কম পড়বে এবং খুব সহজেই উড়তে পারে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। গবেষক তারিখ মোহাম্মদের কথায়, ‘খুব সহজভাবে বলতে গেলে, এই ধরনের ফাইবারে তৈরি কোনো ড্রোন যদি নষ্টও হয়ে যায়, তাহলে তা মাটিতে পুঁতে দেয়ার পরই আদতে নষ্ট হবে। কারণ, এগুলো সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব।’

রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই ধরনের প্রোটোটাইপ ড্রোন যেগুলো গবেষক তারিখ এবং তার দল তৈরি করেছেন, সেগুলো এক হাজার মিটার অবধি উড়তে পারে এবং বাতাসে কমপক্ষে ২০ মিনিট অবধি ভেসে থাকতে পারবে এই বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোন।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ