সিগারেটের দাম বাড়লেও দেশের ৭১ শতাংশের বেশি মানুষ সিগারেট কেনার খরচ কমাবেন না, সম্প্রতি উন্নয়ন সমন্বয়ের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তবে, জরিপটিতে আরও দেখা গেছে, সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেলে ৩০ শতাংশের মতো ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে বা কমিয়ে দিতে পারেন।
২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের পাঁচটি জেলার ৬৫০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জেলাগুলো হলো নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, ফেনী ও ঢাকা। বুধবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজিত 'তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব' শীর্ষক আলোচনায় জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সিগারেটের দাম বাড়লে ৪.৫ শতাংশ সিগারেটের পেছনে খরচ না কমিয়ে সিগারেট কম খাবেন, ২৯.৭ শতাংশ ধূমপান কমাবেন এবং ২৯.৭ শতাংশ সিগারেট ছেড়ে দেবেন বা ছাড়ার চেষ্টা করবেন।
জরিপে আরও বলা হয়, ৩৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন তারা কম দামী ব্র্যান্ডের সিগারেট বেছে নেবেন।
উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, যে হারে সিগারেটের ওপর কর বসেছে এর চেয়ে এসব মানুষের আয় বেশি বেড়েছে। এ কারণে মানুষ সিগারেট ছেড়ে দিচ্ছে না।,
তিনি বলেন, তামাকের ব্যবহার কমাতে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক বসাতে হবে আর জনসচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খন্দকার তার বক্তব্যে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়লে কোম্পানিগুলোর ওপর কর বাড়ানো উচিৎ, উৎপাদন কমে গেলে করও কমিয়ে আনা উচিৎ। এ প্রক্রিয়ায় অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে ফিলিপাইন, তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও গবেষকরা এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ