কৌশিক সাহা যুক্তরাষ্ট্রের নর্থক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে টেক্সটাইল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শনিবার (৪ মে) জমকালো আয়োজনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান কৌশিক সাহার ডক্টরেট ডিগ্রি অনুমোদন করা হয়।
২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল কোশিক সাহা ডিফেন্স দেন। সেদিনই তার ডক্টরেট ডিগ্রি ঘোষণা করা হয়। কৌশিক পিএইচডিতে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৪ই পেয়েছেন। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. লিসা চ্যাপম্যানের অধীনে কৌশিক পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
ড. কৌশিক সাহা মানিকগঞ্জের শিবালয়ের তেওতা গ্রামের কল্যাণ সাহা ও কৃষ্ণা সাহার ছোট ছেলে। তিনি শিশু শ্রেণি থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। শিবালয়ের টেপড়ার একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। পরে শিবালয় কেন্দ্রীয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় মেধাবৃত্তি লাভ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মাধ্যমিক বৃত্তি পরীক্ষায়ও মেধাবৃত্তি অর্জন করেন। এ ছাড়াও কৌশিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক ভিপি ও দেশের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ‘প্রফেসর মাহফুজা খানম ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বৃত্তি’ লাভ করেন জুনিয়র ও মাধ্যমিকে। এরপর কৌশিক শিবালয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন ২০০৭ সালে। তিনি ২০০৯ সালে রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন।
কৌশিক ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল-বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে ২০১৭ সালে পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। ২০১৯ সালে কৌশিক অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইলসে মাস্টার অব সাইন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি কৌশিক খেলাধুলা করেছেন। তিনি ক্রিকেট খেলায়াড়। তিনি সঙ্গীত চর্চাও করেন। ড. কৌশিক সাহা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এপসন আমেরিকার সদর দপ্তরে প্রডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
কৌশিকের বাবা চ্যানেল আইয়ের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক। জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য। ড. কৌশিক সাহা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার জীবনের নানা প্রাপ্তিতে মা কৃষ্ণা সাহার অবদানের কথা জানিয়েছেন। তার এ চলার পথে ঢাকার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আইবিসিএস প্রাইমেক্সের এজিএম বড় ভাই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কল্লোল সাহা জয়ের সাপোর্ট তার জীবনের বড় পাওয়া। শেষ দিকে তার বৌদি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার অনামিকা মুখার্জির আশীর্বাদের কথাও বলেছেন। এ ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের আন্তরিক ভালবাসার কথা বলেছেন স্ট্যাটাসে। সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কৌশিক।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ