রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর আর ঈদ মানেই সালামি। যুগের পর যুগ ধরে ছোটরা ঈদের দিন সকালে নামাজ ঈদের পড়ে এসে বড়দের পা ছুলেই হাতে চলে আসে কচকচা নোট। মিষ্টি আবদার নিয়ে হাজির হয় তারা। বড়রাও খুশি হয়ে সালামি দেন তাদের। অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়। পকেটে টাকা না থাবা সত্যেও নানা বাহানা ধরতে হয়।
কিন্তু আপনি কি জানেন, অর্থনীতির ভাষায় সালামিকে অর্থনৈতিক আগ্রাসন বলা হয়? তব, এই আগ্রাসনকে এড়াবেন কী করে! অনেকেই বিষয়টি টেকনিক্যালি হ্যান্ডেল করতে পারেন না। ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
তবে চলুন জেনে নেওয়া নিই, সালামির নামে এই অর্থনৈতিক আগ্রাসন থেকে বাঁচতে কী করে-
১. কোনো একাউন্ট নেই
২. মেসেজ সিন করবেন না অনলাইন বা অফলাইন, যে যেভাবেই সালামি চাইতে আসুক না কেন একটু চতুরতা দেখালেই আপনি বেঁচে যেতে পারেন এই আগ্রাসন থেকে। সালামি চাইতে পারে এমন কেউ আপনাকে মেসেঞ্জারে নক করলে তাদের মেসেজ সিন করা থেকে বিরত থাকুন। যদি তিনি কৌশলী হন, যদি আপনাকে মেসেজটা দেখতেই হয় তাহলে মেসেজটা সিন করার আগে ফোনের ডাটা কানেকশন অফ করে দেবেন। এরপর মেসেজটি সিন করে ডাটা কানেকশন অন না করে মেসেঞ্জার এপসটি ক্লিয়ার ডাটা মেরে দেবেন।
৩. গাঢ় মেকাপের ব্যবহার সালামি দেওয়া থেকে বাঁচাতে গাঢ় মেকাপ আপনাকে অনেক ক্ষেত্রে সুরক্ষিত রাখতে পারে। যদিও শুধু মেয়েরা এই টিপস এপ্লাই করতে পারবেন।
যদিও গবেষণা বলছে, পুরুষের চেয়ে নারীরা সালামি দেওয়া এড়িয়ে যেতে বেশি পছন্দ করেন। গবেষণা আরও জানিয়েছে, নারীরা সালামি চাওয়ার বেলায় সাড়ে ১৬ আনা। দিতে পারুক বা না পারুক, নিয়েই ছাড়বে। সেক্ষেত্রে মেয়েরা চাইলে সালামি দেওয়াকে একেবারে শূন্যের কোটায় আনতে পারে একটু গাঢ় মেকাপের মাধ্যমেই।
৪. নিজেকে করোনা বা জলাতঙ্ক রোগী হিসেবে ঘোষণা করুন
চাঁদ রাতেই ফেসবুকে ফিলিং সিক এক্টিভিটিস দিয়ে ক্যাপশনে লিখে দিন 'কোভিড পজিটিভ' কিংবা 'জলাতঙ্ক' হয়েছে আপনার । কারও সামনে পড়লে একই কথা বলুন। দেখবেন, রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয়ে কেউ সালামি চাইতে ধারে কাছেই আসবে না।
নয়াশতাব্দী/এএ/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ