মহাকাশ যারা চষে বেড়ান, তাদের জীবনযাপন আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের মতো নয়। শূন্যে উড়ে বেড়ানো এসব নভোচারীদের রয়েছে অনেক প্রতিকূলতা। প্রতিটা মুহূর্তে বাঁচার জন্য তাদের চলতে হয় হিসাব করে।
তার মধ্যে রয়েছে- অক্সিজেন, জ্বালানি ও খাবারের মতো জীবন বাঁচানো গুরুত্বপূর্ণ সব দ্রব্য। যা বুঝে শুনে ব্যবহার করতে হয় তাদের। তবে, সেখানকার খাবারও যে স্বাভাবিকের মতো, তাও কিন্তু নয়।
কোনোরকম অস্বাভাবিক ধরণের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকেন নভোচারীরা। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, তারা কি সংরক্ষিত প্রিজারভেটিভ যুক্ত ড্রাইফুড খান; নাকি অন্যকিছু?
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ‘মহাকাশচারীরা মহাকাশে গিয়ে কি ধরণের খাবার খান’?
মহাকাশে খাবার টেবিলের আড্ডায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন-২০ (আইএসআইএস-২০) এর ক্রু'রা। সূত্র- ইন্টারনেট
মহাকাশে যেসব খাবার নিষিদ্ধ
অনেকে ভাবতে পারেন ড্রাইফুড খেয়েই চলেন মহাকাশচারীরা। অথচ প্রায় যেকোনো ধরণের ড্রাইফুডই মহাকাশে নেওয়া নিষিদ্ধ। যেমন- রুটি, কুকিজ বা বিস্কুট এবং টোস্টের মতো খাবার। কারণ এর টুকরোগুলো মহাকাশে ভাসতে শুরু করে। এছাড়া এসব খাবার চিবানো এবং গিলে ফেলার সময় মহাকাশচারীদের গলায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।মহাকাশে যেকোনো কোমল পানীয় এবং অ্যালকোহলও নিষিদ্ধ। কারণ, কোমল পানীয় বা মদ্য ধরণের পানীয়তে চিনি ও লবণের মতো খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় এসব উপাদান চারিদিকে ভেসে বেড়াতে শুরু করবে। ফলে মহাকাশচারীদের চোখ, নাক ও মুখেও আটকে যেতে পারে। তাই চিনি আর লবন ছাড়াই খাবার খেতে হয় তাদের।
মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় এভাবেই খাবারগুলো ভেসে বেড়াতে থাকে।
মহাকাশে যেসব খাবার খাওয়া যায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, ফলমূল, মিষ্টি জাতীয় খাবারের মতই প্রায় শতাধিক আইটেম থাকে। প্রতিটি মিশনের জন্য থাকে আলাদা আলাদা খাবারের তালিকা।
দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকায় খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোনোভাবেই যাতে খাবার নষ্ট না হয়, সেজন্য মহাকাশচারীদের হালকা, সুস্বাদু, পুষ্টিকর খাবার বাছাই করতে হয়।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসআইএস) এর ক্রু-দের চারদিন অন্তর এক মাসের খাদ্য তালিকা। সূত্র- ইন্টারনেট
মহাকাশে নিজের শরীরকে আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। প্রশ্ন আসতেই পারে, মহাকাশে পানি আসবে কোথা থেকে? মহাকাশচারীরা পৃথিবী থেকে কিছু পানি সঙ্গে নিয়ে যান। আর বাকিটা আসে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা পানি থেকেই।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ