কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি জগতে দাপট দেখিয়ে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। দুনিয়ার সবচেয়ে আধুনিকতম এই প্রযুক্তির সান্নিধ্যে কেউ খুঁজছেন জীবিকা, আবার কেউ হারাচ্ছেন অবলম্বনটুকু।
এই প্রযুক্তি মানুষকে এমন এক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে যে, কেউ এর সাহায্যে হয়েছেন কবি, কেউ বা লেখক-সাহিত্যিক। এর কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- মানুষের মতো লেখার ক্ষমতা; যার সাহায্যে একজন লেখক পুরো উপন্যাসও লিখে ফেলছেন, এমনকি পুরস্কারও পেয়েছেন।
এমনই এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে জাপানে। রি কুদান নামে দেশটির ৩৩ বছর বয়সী এক নারী লেখক এমন কাণ্ড ঘটিয়ে জিতে নিয়েছেন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক হিসেবে ‘আকুতাগাওয়া পুরস্কার’। এআই-এর সাহায্যে লেখা ওই উপন্যাসটির নাম ‘দ্য টোকিও টাওয়ার অফ সিম্পেথি’।
পুরস্কার পাওয়ার পর রি কুদান জানান, উপন্যাসটি লিখতে তিনি বহুল আলোচিত এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সহায়তা নিয়েছেন। কুদানের মতে, এই উপন্যাসের অনেক শব্দ এআই থেকে নেওয়া হয়েছে। এই বইয়ের থিমের জন্য চ্যাটজিপিটির সহায়তাও নিয়েছেন তিনি।
মূলত টোকিওতে একটি আরামদায়ক সুউচ্চ ভবনের কারাগার নির্মাণের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি। যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন স্থপতির দ্বিধাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় গল্পটি।
কুদান জানান, ব্যক্তিগত জীবনেও যেসব সমস্যাগুলোর কথা তিনি কাউকে বলতে পারবেন না, সেগুলো নিয়ে তিনি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পরামর্শ করেন।
জাপানি এই নারী লেখক বলেন, ‘এআই আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী আউটপুট না দিলে, আমি মাঝে মাঝে প্রধান চরিত্রের লাইনে নিজের অনুভূতি প্রতিফলিত করেছি।’
এদিকে, লেখক ও পুরস্কার প্রদান কমিটির সদস্য কেইচিরো হিরানো এক এক্স পোস্টে বলেছেন, তিনি রি কুদানের এআই ব্যবহারে কোনো সমস্যা দেখছেন না। তবে তিনি এর ভবিষ্যত সম্পর্কে শঙ্কিত। কারণ তারা উপন্যাসগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করার সময় এআই এর ব্যবহার ধরতে পারেননি।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ