মানুষ মাত্রই কম বেশি ভ্রমণ করেন। দূরে, কাছে, রিসোর্ট বা আত্মীয় বাড়ি। ঘুরেতে আমরা সকলেই যাই। ব্যস্ত জীবন, যান্ত্রিকতা থেকে নিজেকে কিছু সময় দূরে রাখাসহ নানা প্রয়োজনেও আমরা ভ্রমণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভ্রমণ করা কেন জরুরি?

কর্মজীবনে একঘেয়েমি, ক্লান্তি দূর করতে একটু সময়ের ভ্রমণ চাঙা করে দিতে পারে শরীর ও মনকে। ঘোরাঘুরি দেহ ও মন ভরে দেবে প্রশান্তিতে। ভ্রমণের কারণে নিত্যনতুন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন হয় খুব সহজে। ফলে কাজের ফাঁকে একটু সময় তো আপনাকে বের করে নিতেই হবে।

চলুন, ভ্রমণ কেন জরুরি তার কিছু কারণ বের করার চেষ্টা করি।

১. দেহ ও মনে প্রশান্তি

প্রকৃতির মায়াভরা অবারিত সবুজ দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন। ঘুরতে গিয়ে অনেক বিষয় আপনাকে মুগ্ধ করবে। আর দেহ ও মনে আনবে প্রশান্তির ছায়া। ফলে পরবর্তী কাজে আপনি অনেক বেশি উদ্যমী হবেন।

২. অজানাকে জানতে

দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির ফলে আপনার অনেক অভিজ্ঞতা হবে, যা কখনো আপনি অর্জন করেননি। এছাড়া পৃথিবীতে কত কিছুই দেখার আছে আপনার।

৩. জ্ঞানের পাল্লা ভারি করবে

ভ্রমণ আপনার জ্ঞানের পাল্লা ভারি করবে। যেমন মিসরে নীল নদ হয়তো অনেক বইতে পড়েছেন। কিন্তু আপনি যদি একবার নীল নদ ঘুরে আসেন তবেই বুঝতে পারবেন চোখে দেখা অভিজ্ঞতা বইয়ের চেয়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

৪. নতুন বন্ধু পাওয়ার সুযোগ

নতুন জায়গায় ভ্রমণ করলে অনেক ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। ভ্রমণ করতে গিয়ে পথেঘাটে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আপনার গড়ে উঠতে পারে ভালো বন্ধুত্ব।

৫. ভবিষ্যতের ভাবনা

একা ভ্রমণ করলে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পাবেন। নিজের প্রতি মনোনিবেশ করার সুযোগ পাবেন। একা ভ্রমণের মাধ্যমে নিজের অনেক গুণ আবিষ্কার করতে পারেন, যা আপনার কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। নতুন অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের কারণে ভবিষ্যৎ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

৬. পছন্দমতো কাজ করা

ভ্রমণ আপনাকে শিক্ষা দেবে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। এ ছাড়া নিজেকে ভালোবাসার মতো শিক্ষা পাবেন একা ভ্রমণের মাধ্যমে।

নয়াশতাব্দী/একে