ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাড়ির চেয়েও দামি নম্বর প্লেট!

প্রকাশনার সময়: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৫৬

নম্বর প্লেটে নম্বরের খেলা! গাড়ির দামকেও যেন টেক্কা দেয় তার নম্বর প্লেট। অর্থের নিরিখে যেন নম্বর প্লেটের নম্বরের সুরও চড়া। কোনো গাড়ির নম্বর প্লেটের দাম ৪০ লাখ, আবার কোনো প্লেটের দাম ১০ লাখের গণ্ডি পার করেছে। এ নম্বর প্লেটগুলোর বিশেষত্ব কী? জেমস বন্ডের চরিত্র কমবেশি সবারই প্রিয়। এ চরিত্রের সঙ্গে জড়িত ০০৭ নম্বরটিও কারও অপরিচিত নয়। নিজের গাড়ির নম্বর প্লেটে এই নম্বরটিই রাখতে চান আহমেদাবাদের ব্যবসায়ী আশিক প্যাটেল।

২০২০ সালে টয়োটা ফরচুনার মডেলের গাড়ি কেনেন আশিক। জেমস বন্ডের একনিষ্ঠ অনুরাগী তিনি। গাড়ি কেনার পর তার রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ০০৭ নম্বরটি রাখতে চান তিনি। ইচ্ছানুযায়ী নম্বর প্লেট তৈরি করতে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচও করেন আশিক। অনলাইন মাধ্যমে নির্দিষ্ট নম্বর প্লেটের জন্য নিলাম শুরু হলে আশিক দেখেন ২৫ হাজার টাকা থেকে ০০৭ নম্বরযুক্ত প্লেটের নিলাম শুরু হয়েছে। কিন্তু আশিক কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাননি। ৪০ লাখ টাকা দিয়ে নিজের পছন্দের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পান তিনি।

কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা কেএস বালগোপাল। পেশায় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্মকর্তা তিনি। এক কোটি টাকা খরচ করে নিজের জন্য পোরশে ৭১৮ বক্সটার মডেলের নীল রঙের একটি স্পোর্টস কার কেনেন তিনি। ২০১৯ সালে স্পোর্টস কারের জন্য পছন্দসই নম্বর প্লেটও কিনে ফেলেন কেএস বালগোপাল। তিনি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ০ এবং ১ সংখ্যা দু’টির উপস্থিতি চেয়েছিলেন। নিলামের সময় বাংলাদেশি মুদ্রা ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে নিজের পছন্দমতো নম্বর প্লেটটি কেনেন তিনি।

স্পোর্টস কার ছাড়াও ল্যান্ড ক্রুসার এলসি ২০০ মডেলের একটি গাড়ি কিনেছিলেন কেএস বালগোপাল। ২০১৭ সালে গাড়িটি কেনার পর ০ এবং ১ সংখ্যা দু’টি ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে নম্বর প্লেটটি তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। দেড় লাখ টাকা দিয়ে ‘বুকিং’ করার পর ২২ লাখ টাকা খরচ করে নম্বর প্লেটটি কেনেন তিনি।

চণ্ডীগড়ের টায়ার প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক জগজিৎ সিংহ চহাল। ২০১২ সালে সোয়া ১ কোটি টাকা খরচ করে ল্যান্ড ক্রুসার এলসি ২০০ মডেলের গাড়ি কেনেন তিনি। জগজিতের কাছে আরও যে ১০টি গাড়ি রয়েছে, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ০০০১ নম্বরটি রয়েছে।

ল্যান্ড ক্রুসার এলসি ২০০ মডেলের গাড়ির ০০০১ নম্বরটি রাখতে চান জগজিৎ। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত নম্বর প্লেটটি নিলামে ১৯ লাখ টাকা দিয়ে কেনেন তিনি। বিলাসবহুল গাড়ি ছাড়াও জগজিতের সংগ্রহে ১০টি বাইক রয়েছে। প্রতিটি বাইকের নম্বর প্লেটে ১০০০ নম্বরটি দেখা যায়। রাস্তার ধারে একটি ধাবায় কাজ করে রোজগার শুরু। সেখান থেকেই ‘ওয়েডিং ম্যানেজমেন্ট’ সংস্থার কর্মকর্তা হয়ে ওঠেন রাহুল তানেজা। ২০১৮ সালে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে নম্বর প্লেট কেনার জন্য শিরোনামে আসেন তিনি।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ