ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুরগির ভালোবাসায় বেড়ে উঠছে কাঠবিড়ালির ছানা

প্রকাশনার সময়: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬:১৬

একেই বলে মায়ের মমত্ব। মানবকুল ছাপিয়ে এর পরিধি প্রাণিকুল অবধি। মায়ের মমতার নতুন আরেক খবর জানা গেল স্কটল্যান্ডে। সেখানে একটি মুরগির ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছে কাঠবিড়ালির ছানা!

সংকটাপন্ন প্রাণী উদ্ধার ও পরিচর্যার সঙ্গে যুক্ত স্কটল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান দ্য স্কটিশ সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অব ক্রয়েলটি টু অ্যানিমেলস (এসপিসিএ) গত মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিয়ে সচিত্র তথ্য প্রকাশ করে। যার সূত্র ধরে গতকাল বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।

স্বাভাবিকভাবে ভিন্ন প্রকৃতির প্রাণী বলে কাঠবিড়ালির সঙ্গে মুরগির সখ্য হওয়ার কথা নয়। তবে স্কটল্যান্ডের ফাইফ কাউন্টির টেইপোর্ট এলাকায় তার উল্টো ঘটনা ঘটল। তবে এ কথাও বলতে হবে, ভিন্ন প্রকৃতির প্রাণীর সঙ্গে অন্য প্রাণীর সখ্য যে হয় না, তা একেবারে বিরল কোনো ঘটনা নয়।

এসপিসিএর প্রাণী উদ্ধারবিষয়ক কর্মকর্তা বেথ গালব্রেথ বলেন, টেইপোর্টের এক গেরস্তের কাছ থেকে তারা প্রথম মুরগি ও কাঠবিড়ালি ছানার সখ্যের কথা জানতে পারেন। ওই ব্যক্তি তাদের জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে কাঠবিড়ালির একটি ছানা তাদের খামারে আসছে, আর মুরগির ওমে দিব্যি ঘুমিয়ে নিচ্ছে।

ওই খবর জানার পর এসপিসিএর কর্মীরা কাঠবিড়ালির ছানাটিকে তাদের পরিচর্যাকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। বেথ গালব্রেথ বলেন, উদ্ধারের সময় ছানাটি খুব হালকা ও পানিশূন্যতায় ভুগছিল। যখন স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে ও বয়স আরও বাড়বে, তখন এটিকে বনে মুক্ত করে দেওয়া হবে।

বেথ গালব্রেথ আরও জানান, মুরগিটি কাঠবিড়ালির ছানাকে আপন ছানার মতো মমতা করত। সেটিকে কোনো ধরনের বিরক্ত হতে দেখা যায়নি। তাদের মধ্যে অন্য রকম বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এসপিসিএ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কাঠবিড়ালির ছানাটি লাল প্রজাতির। মূলত এটি তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় নতুন মায়ের খোঁজ করতে থাকে। অবশেষে সে ওই মুরগির মধ্যে মায়ের ভালোবাসা খুঁজে পায়। বিবিসি

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ