সম্প্রতি ইন্টারনেটে আলোড়ন ফেলা এক প্রযুক্তির নাম চ্যাট জিপিটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে এই প্রযুক্তি। তারপর থেকেই একের পর এক দেশে পরিষেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু চ্যাট জিপিটির অজানা কথা জানলে আপনি বিস্মিত হবেন। জানেন কি প্রতি চ্যাটে পানি প্রয়োজন হয় চ্যাটবটের? প্রতি কথোপকথনে ৫০০ মিলিলিটার পানি খরচ করছে চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পিছনে যে শক্তি খরচ হয় তা জানতে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়। ‘মেকিং এআই লেস থ্রাস্টি’ নামে একটি পেপারে সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এই গবেষণা বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট স্টেট অফ দ্য আর্ট ডেটা সেন্টারে চ্যাটজিপিটি ট্রেনিংয়ের পিছনে ৭০০০০০ লিটার পানি খরচ হয়। এবং এই সংখ্যা এশিয়ার ডেটা সেন্টারগুলোতে তিনগুণ বেশি।
সাধারণত চ্যাটজিপিটিকে একাধিক বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে বড় বড় ডেটা সেন্টার। যেখানে এআই মডেলগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এই ডেটা সেন্টারগুলোর সার্ভার পরিচালনা করার জন্য দরকার পড়ে বিপুল শক্তি। আর এ সব করার জন্য পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম এবং শক্তি নির্ভর কম্পিউটিং ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। এগুলো চালু রাখতে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তা উৎপাদন করা হয় পানির মাধ্যমে। কারণ উচ্চ শক্তি এবং পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম না থাকলে হার্ডওয়্যারগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ