ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাটারির এমএএইচ মানে কী?

প্রকাশনার সময়: ২০ জুলাই ২০২৩, ২১:৪৮
ছবি : সংগৃহীত

ফোন এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। বাজারে বিভিন্ন রকমের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। বাজারে নতুন ফোন লঞ্চ করলে কিনুন বা না কিনুন, তা নিয়ে চর্চা থাকেই। ফোনটি কেমন, কতটুকু চলতে পারে, ক্যামেরা কেমন, কতক্ষণ চার্জ থাকবে এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে মন। একটা স্মার্টফোন কিনতে গেলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফোনের ব্যাটারি। যাদের কাজের জন্য নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে স্মার্টফোনের ব্যবহার হয়, তাদের ক্ষেত্রে যে ফোনে অনেকক্ষণ চার্জ থাকবে বা ব্যাটারি লাইফ বজায় থাকবে, সেটাই ভালো হবে। ব্যাটারির ক্ষমতা দেখার জন্য এমএএইচ (mAh) লেখা একটা সংখ্যা দেখতে হয়। অনেকেরই ধারণা নেই এই লেখাটা আসলে কী সেটা সম্পর্কে।

চলুন জেনে নিই-

এমএএইচ (mAh) আসলে কী?

স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যাটারি। এমএএইচ দিয়ে মূলত ব্যাটারির ক্যাপাসিটি বোঝানো হয়। এমএএইচ এর পূর্ণরূপ হলো মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার। ব্যাটারির এনার্জি ক্যাপাসিটি মাপার ইউনিট এটি। অর্থাৎ একটি ব্যাটারিতে কত এনার্জি স্টোর করা সম্ভব সেটা বোঝা যায়। এর পাশাপাশি ওই ব্যাটারিতে চার্জ থাকলে তা কতক্ষণ চালু থাকবে বা ডিভাইসকে অন রাখবে সেটাও বোঝা যাবে।

ফোনে কত মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকা ভালো? আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে আপনার কতটুক ব্যাটারি প্রয়োজন। যেমন গেইমিং এর জন্য বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি দরকার, নরমাল কল করা বা ব্রাউজিং এর জন্য কম ক্ষমতার ব্যাটারি হলেই হয়। সাধারণত ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিযুক্ত ফোন থাকলেই যথেষ্ট। কেননা, এই পরিমান ব্যাটারি থাকলে ফোন একবার চার্জ দিলে দুই দিন চালু থাকবে। যদি আপনি গান শোনেন, ভিডিও দেখেন তাহলে চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হবে। সেক্ষেত্রে বেশিবার চার্জ দিতে হবে। অন্যদিকে ইউজার যত বেশি গান শোয়া, গেম খেলা, সিনেমা-ভিডিও দেখা ইত্যাদি কাজ করবেন, ফোনের চার্জ তত তাড়াতাড়ি শেষ হবে। সেক্ষেত্রে বেশিবার চার্জ দেওয়া প্রয়োজন।

নয়া শতাব্দী/এসএম/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ