ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চায়ের দাম ২ লাখ টাকা

প্রকাশনার সময়: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৩

আসামের ডিব্রুগড়ে উৎপাদিত এক কেজি গোল্ডেন পার্ল চা-পাতা নিলামে বাংলাদেশি প্রায় দুই লাখ টাকায় (এক লাখ একান্ন হাজার রুপি) বিক্রি হয়েছে। গেল শুক্রবার ডিব্রুগড়ের নহরচুকা বাড়ির এএফটি টেকনো ট্রেড সংস্থার কারখানায় তৈরি এই বিশেষ চা নিলামে কিনেছে হিন্দুস্তান টি এক্সপোর্টার। রাশিয়ার মেসার্স মিখাইল টি-কোম্পানির পক্ষ থেকে তারা এই চা কিনেছে।

এর আগে, চলতি বছরে সরকারি নিলামে গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা (৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি)। আসামের মনিহারি গোল্ডেন টির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রায় দেড় লাখ টাকা (১ লাখ ১৫ হাজার রুপি)। নহরচুকা বাড়ি চা কারখানার প্রতিনিধি আসলাম খান বলেন, ‘ভালো দাম ওঠায় আমি কারখানার সব কর্মী, ছোট বাগান ও উৎপাদনকারীদের ধন্যবাদ জানাই। তারাই আমাদের ওপর ভরসা রেখে সেরা চায়ের কুঁড়িগুলো আমাদের দিয়েছেন।

শরৎকালে যখন চায়ের কুঁড়ি আসে তখন সংগ্রহ করা কুঁড়ি থেকে বিশেষ এ চা-পাতা তৈরি করা হয়। এই চা-পাতার ওপর একটা সোনালি আস্তর থাকে। সঙ্গে ফুলের গন্ধযুক্ত স্বাদ। অ্যান্টিএজিং এবং স্বাস্থ্যকর এই চায়ের উজ্জ্বল লিকার হয়। চায়ে চুমুক দিলেন একটা প্রশান্তি ভাব চলে আসে।’ এই চা আসামের অন্যতম প্রিমিয়াম চা হিসেবে গত কয়েক বছর থেকে পরিচিতি লাভ করেছে বলে জানান আসলাম খান।

চা-বাগান সংশ্লিষ্ট রঞ্জন লোহিয়া বলেন, ‘ব্যক্তিগত চা নিলামের দাম বেঁধে দিয়েছে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। আমরা যদি গোয়াহাটি টি-অকশন সেন্টারে অংশ নিতাম, তাহলে এই চায়ের দাম এক লাখের বেশি হতো না। কারণ এটাই সর্বোচ্চ দাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু একই পদ্ধতি মেনে ওয়েবসাইটে চায়ের নিলাম ডাকা হয়। কিন্তু সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয় না। তাতেই আমরা ভালো দাম পেয়েছি।’

২০১৮ সালে ডিব্রুগড় বিমানবন্দরের কাছে চায়ের কারখানাটি তৈরি করেন ইমরান খান, নুর আলম এবং আসলাম খান। ২০১৮ সালে এক কেজি গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার ১০০ রুপি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার এবং ২০২১ এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই চায়ের দাম ওঠে ৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি। এই চাকে বিশ্বের বিশেষ পানীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গোল্ডেন পার্ল টি তৈরিও করতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে। সূর্য ওঠার আগেই বছরের নির্দিষ্ট সময়ে চায়ের কুঁড়ি তুলতে হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের দ্বারা বিশেষ পদ্ধতিতে গোল্ডেন পার্ল টি তৈরি করা হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ