‘শতবর্ষে জাতির পিতা, সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মিসরের রাজধানী কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায় মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ঢাকা থেকে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন শুনান যথাক্রমে প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন, তৃতীয় সচিব আতাউল হক, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান।

শুরুতেই আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও প্রবাস জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে একটি প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মিসরের বিভিন্ন এলাকা হতে আগত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে হতে মজিবুর রহমান ইসলাম, আক্তার হোসাইন এবং মো. খোকন। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। সর্বশেষে তিনি দিবসটির ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী, অভিবাসন দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করেন। মিসর প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা এবং সমাধানের নিমিত্ত শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মতৎপরতা এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম বাঙ্গালী জাতির জন্য অবিস্মরণীয়। তিনি বাংলাদেশের সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিসর প্রবাসী সকল বাংলাদেশি কর্মীদের দিবসটি উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে আমাদের মাতৃভূমির উন্নয়নে তিনি সকল প্রবাসী কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আমাদের কার্য ও আচরনের মাধ্যমে Host Country এর মনোযোগ আকর্ষণ করে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ সমাধান করা সম্ভব। উন্নত সমৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে তিনি সকল শ্রেণি ও পেশার সহযোগিতা কামনা করেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর