মিশর-ফিলিস্তিন সীমান্ত 'রাফা' বন্ধ হওয়ার বেশ কয়েক মাস পর আবারো গাজাসীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলো আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল সামরিক আগ্রাসন চালানোর ফলে গাজার শত শত পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। জায়োনিস্টদের হামলার শিকার হয়ে গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চল ছেড়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরে।
এসব শরণার্থী শিবিরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করতে এগিয়ে আসলো মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মানবিক সংস্থা ‘মাই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’।
MYDO আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি Youth Development organization। যারা ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষের কাছে বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম সাকিব বলেন, আমরা যুদ্ধ বিধ্বস্ত অসহায় গাজা বাসিদের কাছে MY DEVELOPMENT ORGANIZATION এর পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করছি, এই গরমে তারা আমাদেরকে তীব্র পানির সংকটের কথা জানালে আমরা তাদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেই। গাজার একটি মানবিক সংস্থার সহায়তায় আমরা প্রতিদিন ৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করি যা প্রায় চারশত এর অধিক পরিবারের কাছে বণ্টন করা হয়। ইতিপূর্বে আমরা গাজার আভ্যন্তরীণ হাসপাতাল (shuhada Al Aqsa, Hospital) Dier el balah তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা রোগী এবং তাদের স্বজনদের নিকট প্রায় ৫ হাজার মানুষের কাছে খাবার সরবরাহ করেছি। তা ছাড়াও মিশরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৫০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও কায়রোর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছি।
এ ছাড়াও গাজায় গৃহহীন কিছু পরিবারকে সাময়িক বাসস্থান তাবু কিনে দিয়েছি। অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আমাদের এই সাহায্য সহযোগিতা চলমান থাকবে। আমরা আবারও খাদ্য বিতরণ, গৃহহীনদের সাময়িক বাসস্থান, তাঁবু ও অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ