বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রথমস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম দশ মাসে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭শ কোটি মার্কিন ডলার। সর্বোচ্চ প্রায় ৩শ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
রেমিট্যান্সের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে "রেমিট্যান্স এওয়ার্ড -২০২৩ এবং সিআইপি সংবর্ধনা ২০২১ থেকে ২০২৩ এর আয়োজন করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাই ও উত্তর আমিরাত।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুবাই কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে বৈধপথে নিয়মিত রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের মধ্য থেকে পাঁচ ক্যাটাগরীতে মোট ৫১ জনকে রেমিট্যান্স এওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান করা হয়। একই সাথে আমিরাতে বসবাসরত সিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্ত ৭৫ জন ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম। আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.আবু জাফর। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। এন আর বি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মাহতাবুর রহমান নাসির।
এসময় বক্তারা বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান জানিয়ে বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে নিজের সম্মান বৃদ্ধি পাবে সেইসাথে দেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। আপনারা আরব আমিরাত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রতিনিয়ত রেকর্ড করছেন। গত অর্থবছরের তিন বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে আগামী অর্থ বছরে চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এই ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান বক্তারা।
তবে প্রবাসীরা বলছেন, সরকারের দেয়া ২.৫% প্রণোদনা এবং মিশনের নানামুখী উদ্যোগ এর কারনে এমনটি সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে দুবাই ও উত্তর আমিরাতের বর্তমান কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন কনস্যুলেট সেবাকে প্রবাসীদের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া, সাধারণ প্রবাসী ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বাস্তবমুখী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ সহ অবৈধ হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর হওয়াকে দেখছেন তারা।
প্রবাসীরা আরও বলেন, দেশে প্রবাসী ও প্রবাসীর পরিবারের নিরাপত্তায় আইন প্রণয়ন, বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালতে সেবাপ্রার্থী প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ ও সঠিক মূল্যায়ন, বিমানের টিকেটের উচ্চমূল্যে রোধ এবং এয়ারপোর্টে হয়রানি বন্ধ করা গেলে প্রতিনিয়ত ভাঙবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের রেকর্ড।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ