ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত হলো মিশরের ‘মারাজাইল‌ বাহরাইন’

প্রকাশনার সময়: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৩

পবিত্র কুরআনে‌র সূরা আর রহমান এর ১৯ ও ২০ আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করে না। তাছাড়াও সুরা ফোরকানের ৫৩ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর তিনিই দুই সাগরকে সমান্তরালে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট স্যুপেয় এবং অন্যটি লোনাখর, আর তিনি উভয়ের মধ্যে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান। ভূমধ্যসাগর আর‌ বিখ্যাত নীলনদ মিলিত হয়েছে মিশরের দুম্মিয়াত‌ নামক স্থানে। সেখানে নীলনদের মিষ্টি পানি আর ভূমধ্যসাগরে লোনা পানি‌ প্রবাহিত হচ্ছে আপন গতিতে, কিন্তু একে অপরকে অতিক্রম করে না।‌

মিশরে বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন আল-আযহার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সেই মারাজাইল‌ বাহরাইনে গিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী করলো মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করলো আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

কায়রো থেকে বাসযোগে রাস-ইল-বার‌ জেলার দুম্মিয়াত শহরের ভূমধ্যসাগর সৈকতে ছাত্ররা মেতে উঠেছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খেলা হাঁড়ি ভাঙা, দড়ি টানাসহ বিভিন্ন খেলায়। পড়ন্ত বিকেল, দুই দরিয়ার মোহনায় দাঁড়িয়ে হাম নাত পড়ার পাশাপাশি ওরা আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে গোটা এলাকা। সাথে যোগ দেয় স্থানীয় মিশরীয়সহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা।

আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নরসিংদীর খালেদ মনসুর আজহারী বলেন, প্রিয় মাতৃভূমি ও আপনজনদের ছেড়ে বিদেশের মাটিতে প্রবাসীদের ঈদ যেন এক ভিন্ন রকম অনুভূতি। আজকের আনন্দ ভ্রমণের আয়োজনে আপনজনদের ছেড়ে একাকী ঈদ কাটানোর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হলো।

আরেক শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ির ইলিয়াস হোসেন আজহারী বলেন, এই ঈদ পুনর্মিলনী ও শিক্ষা সফরে এসে চমৎকার একটা ঘটনায় মনটা ভালো হয়ে গেল। মাগরিবের আগ-মুহূর্তে সূর্য ডোবার সময় দুই দরিয়ার পানি লালচে কালার ধারণ করে। যা দেখার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিল হাজারো পর্যটক।

সবার মতো আমরাও সামিল হলাম সেখানে; সেই মুহূর্তে মিশরীয় কিছু ছেলে-মেয়ে তাদের দেশিয় গানের সাথে নাচ দেখে আমরা ব্যথিত হলাম। পরক্ষণেই আমরা সামান্য দূরে গিয়ে মনের সমস্ত আবেগ দিয়ে প্রাণ খুলে গাইতে শুরু করলাম, ‘হাজারো ব্যথা বেদনার পরে ফিরে আসনি তুমি আপন ঘরে।’ তা দেখে আস্তে আস্তে মিশরীয়রা আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে দেখে আমরাও সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলা ভাষায় হামদ ও নাত গাইলাম। আমাদের সাথে যোগ দিল মিশরীয়সহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। লিল্লাহে তাকবির আল্লাহু আকবার, আমাদের দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত করে তুললাম দুই দরিয়ার মোহনা।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ