ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গাজাবাসীর জন্য বৃহত্তম ত্রাণবহর পাঠালো বাংলাদেশিরা

প্রকাশনার সময়: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৯ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪

লাল সবুজের পতাকা সম্বলিত প্রতিটি লরিতে ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৮টি লরিতে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর জন্য।

রমজানের প্রথম দিকে গাজায় হাজার টন ত্রাণ পাঠানোর পর এবার আরও একশ লরি বোঝাই দুই হাজার টন ত্রাণ পাঠাল আল-আযহার চ্যরাটি ফান্ড ‘বাইতুয যাকাত অ্যান্ড সাদাকাত ফাউন্ডেশন’। এটি তাদের ৬ষ্ঠ ত্রাণ বহর। এর আগে পাঁচ দফায় প্রায় পাঁচ হাজার টন ত্রাণ পাঠিয়েছে এই ফাউন্ডেশন। যাতে ছিল ওষুধ, খাবার, পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিসপত্র।

পূর্বের মতো ৬ষ্ঠ দফা ত্রাণ বহরে‌ এবারও গেছে লাল-সবুজের পতাকার সঙ্গে বিভিন্ন চ্যারিটি ফান্ড ও সংস্থার ব্যানার সম্বলিত ৮টি লরি। বাংলাদেশের আপামর জনতা ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুদানে ভর্তি এসব লরির মধ্যে রয়েছে প্রাণ রক্ষাকারী জরুরি ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিসপত্র। এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাঠানো সর্ববৃহৎ ত্রাণ বহর।

মিশরের ‘বাইতুয যাকাত অ্যান্ড সাদাকাত ফাউন্ডেশন’ সূত্রে জানা যায়, এবার বাংলাদেশি ত্রাণের লরির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টি। তন্মধ্যে ৮টি লরি যাচ্ছে ৬ষ্ঠ দফায় এবং বাকিগুলো যাবে ঈদের আগে ৭ম দফায়।

আল আযহার‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা অনুষদে‌ অধ্যয়নরত‌ শিক্ষার্থী ও ‌ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ‌ ফাউন্ডেশনের‌ চেয়ারম্যান‌ হুজাইফা‌ খান বলেন, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত একঝাঁক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর‌ নিরলস প্রচেষ্টায়‌ এবারের ষষ্ঠ‌ দফায়‌ও বাংলাদেশি জনগণের পক্ষ‌ থেকে পাঠানো বিভিন্ন লোগো সম্বলিত‌ ব্যানারে‌ ওয়ার্ল্ড ওয়ান‌ উম্মাহ‌ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে ‘বাইতুয যাকাত অ্যান্ড সাদাকাত’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মোট‌ ৮টি লরি ভর্তি ত্রাণ পাঠানো হয়েছে গাজায়।

এসব অনুদান আল আযহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বেচ্ছাশ্রম এবং তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক বেসরকারি সেবা সংস্থা, মিসরস্থ বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন গুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

এবার গাজায় বাংলাদেশের পতাকা সমন্বিত যে সব সংস্থার লরি যাচ্ছে, সেগুলো হলো-

প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন পরিচালিত আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (Alhaj Shamsul Hoque Foundation) বা আশ ফাউন্ডেশনের লরি, মাওলানা হোজাইফা খান ও মাওলানা সাজ্জাদ আকবর পরিচালিত চ্যারিটি সংস্থা হিউম্যান ফার্স্ট ফাউন্ডেশনের লরি, ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল বিন আলম পরিচালিত সিরাতুল মুসতাকিম (Siratul Mustaqim Foundation) ফাউন্ডেশন, মাওলানা হোজাইফা খানের (Hujaifa Khan) ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন, মাওলানা হোজাইফা খানের হোয়াইট পিজিয়ন, আল আযহার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও আবরাউন ফাউন্ডেশন।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ