ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ঘাস-লতাপাতা দিয়ে ইফতার ও সেহরি, গাজার পথে বাংলাদেশি উপহার

প্রকাশনার সময়: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

ইসরায়েলি আগ্রাসন ও তান্ডবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো। কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে হাজার হাজার মানুষ। অর্ধাহারে-অনাহারে লাখো মানুষ। ঘাস, লতাপাতা দিয়ে ইফতার আর সেহরি খেয়ে রোজা রাখছেন গাজাবাসী।

দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর বাঁধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের আশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে গাজার নির্যাতিত ১২১০টি পরিবারের জন্য ভালোবাসার উপহার নিয়ে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাফাহর উদ্দেশ্য যাত্রা করল লাল-সবুজের পতাকা ও আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানার সম্বলিত একটি লরিসহ বিভিন্ন দেশের ৯০টি বিশাল আকারের লরির বহর।

আশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশর মানুষের দেওয়া এই উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ১২ হাজার বিশুদ্ধ পানির বোতল, জরুরি খাদ্যসামগ্রী, ২১০টি ফুড প্যাকেজ। যা রাফাহ সীমান্ত হয়ে প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই গাজার বিভিন্ন ক্যাম্পে বিতরণ করা হবে।‌

আশ ফাউন্ডেশনে সভাপতি ও বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড এনজিও আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন নয়া শতাব্দীকে বলেন, আজ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া উপহারগুলো লাল-সবুজের পতাকা ও আশ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে মন্ডিত একটি লরিতে বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল, জরুরি খাদ্যসামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের ফুড প্যাকেজ পাঠালাম। এগুলো খুব শীঘ্রই গাজাবাসীর কাছে পৌঁছাবে।

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, নর্থ গাজা, রাফাহ ও খান ইউনিসের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রচুর খাবার পানি ও টয়লেটের সঙ্কট রয়েছে জেনে আশ ফাউন্ডেশন এবার ফিলিস্তিনের রেজিস্টার্ড অর্গানাইজেশনের সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির জন্য ট্যাঙ্ক স্থাপন ও টয়লেট নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফান্ড থাকা সাপেক্ষে যার সংখ্যা কম বেশি হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ