২০২৩ সালে রোমানিয়া বাংলাদেশের ৩৯৭ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে। সম্প্রতি দেশটির জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশনের (আইজিআই) বরাত দিয়ে ইনফোমাইগ্রেন্টস এ তথ্য প্রকাশ করে। গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রোমানিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ দপ্তর ইনফোমাইগ্রেন্টস জানায়, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১ হাজার ২২২ নাগরিককে রোমানিয়া নিজস্ব পুলিশি পাহারায় তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায়।
যেখানে সর্বোচ্চ বাংলাদেশে ৩৯৭ জন, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের মোট নাগরিক ১৫৪ জন। এ ছাড়া নেপালের ১২৩ জন, শ্রীলঙ্কার ১০৪ জন, ভারতের ৮৮ জন, মলডোভার ৫৮ জন, মিসরের ৫২ জন, মরক্কোর ৩৯ জন, ভিয়েতনামের ৩২ জন ও সিরিয়ার ৩ জন নাগরিককে বছরের বিভিন্ন সময় ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া সরকার।
ইনফোমাইগ্রেন্টস আরও জানিয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের সবার আগামী পাঁচ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা (ইউরো জোন) ও সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালে অভিবাসীদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছেছে নতুন সেনজেন জোটভুক্ত হওয়া এই দেশটি। ফেরত পাঠানোর এই ব্যক্তিরা আগামী পাঁচ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোনো দেশে প্রবেশ করতে পারবে না।
২০০৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রোমানিয়া সরকার জানায়, আকাশ ও সমুদ্রসীমান্ত দিয়ে ইউরোপের পাসপোর্টমুক্ত অবাধ চলাচলের সেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ করবে দেশ দুটি। ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে বৈধভাবে রোমানিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশিদের ইউরোপের অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া বাড়তে থাকায় দেশটি ভিসা দেয়া কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশকে ৮ হাজার ৪০০ ভিসা দেবে রোমানিয়া। এর মধ্যে নতুন ভিসা ৫ হাজার এবং বাকি ৩ হাজার ৪০০ ভিসা প্রক্রিয়াধীন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে রোমানিয়ার সীমান্ত পুলিশ বিভিন্ন আফ্রো-এশীয় দেশ থেকে আসা ১১৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। তারা বিভিন্ন উপায়ে লুকিয়ে অবৈধভাবে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশি।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ