ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিশরে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

প্রকাশনার সময়: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৪১

‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে উদযাপন করা হলো শেখ রাসেল দিবস ২০২৩।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানী কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে উদযাপন করা হয় এই অনুষ্ঠান।

দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী, শিশু-কিশোর/কিশোরীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন স্মরণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন দূতাবাসে কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দ্বিতীয় সচিব শিশির কুমার সরকারের উপস্থাপনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার ও অন্যান্য শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ মোনাজাত করেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ বায়জিদ মাহমুদ।

এই দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দ্বিতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করার পর দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে দেশ ও জাতির ওপর বক্তব্য দেন।

শেখ রাসেলের জন্ম, শৈশব, শিক্ষা জীবন, পরিবার, পছন্দ, তার ওপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মূহুর্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ও তাদের নিয়ে শেখ রাসেল এর জন্মদিনের কেক কাটেন চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স।

সমাপনী বক্তব্যে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে উপস্থিত মিশরে বসবাসরত প্রবাসীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ রাসেলের ক্ষণস্থায়ী জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন।

চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স বলেন, শিশুকাল থেকেই শেখ রাসেল ছিলেন নম্র-ভদ্র এবং আচরণে অত্যন্ত মার্জিত। শেখ রাসেল রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হওয়া স্বত্বেও সাধারণ পরিবারের সদস্যদের মতো জীবনযাপন করতেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে, স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে অন্য সবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে যান শহিদ শেখ রাসেল। সেদিন বিশ্বের সব মায়া-মমতা হারিয়ে গিয়েছিলো, মানবতা হয়েছিলো নির্বাসিত স্তব্ধ।

ইসমাইল হোসাইন বলেন, ক্ষমতা দখল কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে বহু দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু অন্ত্বসত্তা নারী ও কোমলমতি শিশু রাসেলসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তাই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের চরম অবমাননার জ্বলন্ত উদাহরণ।

এ সময় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরবী ভাষায় শেখ রাসেলের ওপর লেখা বই ‘সেদিন তারা চাঁদ হত্যা করেছিল’ লেখায় মিশরীয় লেখক মহসীন আরশীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শেখ রাসেলের ওপর প্রকাশিত আরবি বই আরব বিশ্বসহ বিশ্ববাসীর নিকট শেখ রাসেল এবং তার পরিবার সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।‌

সর্বশেষে আগত অতিথিদের বাঙ্গালী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ