শুক্রবার মিশরে রাজধানী কায়রোর আর মা'দী এলাকার কূটনৈতিক পাড়ায় অনুষ্ঠিত হলো মিশর-মেক্সিকোর ৬৫ বছর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও জাতীয় দিবস।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার সহধর্মিণীসহ দূতাবাসের অন্যান্য কূটনৈতিকদের নিয়ে যোগ দেয় এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে। কায়রোস্থ মেক্সিকান রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাস ভবনের বিশাল বাগানে অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে মিশরের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, দেশটির সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীসহ অন্তত ৬ শতাধিক বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
কায়রোতে মেক্সিকান দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও গণমাধ্যমকর্মী আফছার হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘ প্রবাস জীবনে নিজ জন্মভূমির প্রতি আনুগত্য রেখে সব সময় চেষ্টা করি নিজ দেশের প্রতিনিধিদের যথাযত মর্যাদা ও সন্মান প্রদর্শন করতে।’
তিনি বলেন, ‘মেক্সিকো দূতাবাসের বিশাল এই আয়োজন অনুষ্ঠানে ৬ শতাধিক অতিথি পেয়ে আমি যেনা খুশি হয়েছি, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আমার দেশের রাষ্ট্রদূত, তার সহধর্মিণী, দূতাবাস প্রধান ও ২য় সচিবকে পেয়ে।’
আফছার হোসাইনের সহধর্মিণী নাজমা হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত আমি মিশরের মেক্সিকান দূতাবাসের জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে আসি। প্রতি বছরেই এই দূতাবাস ও আমার স্বামী আমার দেশের রাষ্ট্রদূতসহ অন্যান্য কূটনৈতিকদের নিমন্ত্রণ করে থাকে। এর আগে শুধু রাষ্ট্রদূত তার সহধর্মিণী আসলেও এই প্রথম রাষ্ট্রদূত তার সহধর্মিণী ও অন্যান্য কূটনৈতিকদের নিয়ে যোগ দিল দেশটির জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানে। যা দেখে আমার খুবই ভাল লাগছে। বিশেষ করে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ম্যাডামকে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গোজাদিয়া ইউনিয়ন টামনী আকন্দ পাড়া গ্রামের আফছার হোসাইন দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে মেক্সিকান দূতাবাসে কর্মরত আছেন। ২০২০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর দেশটির জাতীয় দিবসে মেক্সিকান সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পুরস্কার অঠলী (OHTLI) সন্মানে ভূষিত হন এই প্রবাসী। এছাড়াও একাধিক বার মিশরের আল-আহরাম পুরস্কার ও দূতাবাসের রজত জয়ন্তী পুরস্কারেও পুরুস্কৃত হয়েছেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ