ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আরও কমেছে প্রবৃদ্ধি

প্রকাশনার সময়: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪৬ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:০০

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরেও দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি আরও কমেছে। অক্টোবর শেষে এই প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৯১ শতাংশ। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ১৩.৯৩ শতাংশ। সেই হিসাবে আগের মাস সেপ্টেম্বরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ০.২ শতাংশ। আগস্টে এই হার ছিল ১৪.০৭ শতাংশ।

টানা তিন মাস বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে ভাটার টান দেখা গেছে। এর অর্থ হলো ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ১৩.৯১ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছেন। মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বাড়ানোর পর থেকেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণপ্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি বছরের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা; যা আগের মাস সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ১৩ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি।

এ সময়ে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির পরিমাণ কমলেও ঋণপ্রবাহ খুব বেশি কমেনি। যে কারণে গত অক্টোবরে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ নেয়ার প্রবণতাও খুব একটা কমেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৩.৯১ শতাংশ। এর অর্থ হলো ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ব্যাংকিং খাত থেকে ১৩.৯১ শতাংশ বেশি ঋণ নিয়েছেন। এ সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪.১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে যা ১৪.৮০ শতাংশ ছিল। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে মুদ্রানীতিতে প্রাক্কলন কিছুটা কমানো হয়।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাম্প্রতিক কয়েক বছর বিনিয়োগ চাহিদা কম রয়েছে। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে আসে ৯.৮৭ শতাংশে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক কমে ২০২০ সালের মে শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭.৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে তা অল্প মাত্রায় বাড়তে থাকে। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.০৭ শতাংশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ১০.৭২ শতাংশে নেমে আসে।

এর পর মার্চে আবার বেড়ে ১১.২৯ শতাংশে দাঁড়ায়। এর পরের মাস এপ্রিলে হয় ১২.৪৮ শতাংশ। মে মাসে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ১২.৯৪ শতাংশ। জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৩.৬৬ শতাংশ, জুলাইয়ে যা ছিল ১৩.৯৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ঋণ দেয়ার পরিমাণ আগস্টে বেড়ে হয়েছিল ১৪.০৭ শতাংশ। এর আগে গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ১৩.৬৬ শতাংশে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ