ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশু রাসেলের প্রাণপণ আর্তিতেও কর্ণপাত করেনি খুনীরা

প্রকাশনার সময়: ১৩ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৩ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৮

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞে পাষাণ ঘাতকের মন এতটুকু টলেনি নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলের আকুতিতে। মায়ের কাছে যাবার প্রাণপণ আর্তিতে কর্ণপাত করেনি খুনীরা।

শেখ রাসেল; বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। পরিবারের সবার চোখের মণি ছোট্ট রাসেল।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের এই বাড়িতেই ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম শেখ রাসেলের। রাজনৈতিক অস্থিরতায় শৈশবে খুব কম সময়ই কাছে পেয়েছে বাবাকে। অথচ চাপা স্বভাবের রাসেলের হাঁটাচলা ছোট থেকেই ছিলো বঙ্গবন্ধুর মতো; এমনকি পোশাকও পরতো বাবাকে অনুসরণ করেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নাসরিন আহমেদ বলেন, নিজের মতো করে থাকতে পছন্দ করতো। নিজের খেলনা নিয়ে খেলছে, আরেকটু যখন বড় হলো তখন সাইকেলটা নিয়ে চালাচ্ছে। সব সময়ে মায়ের আঁচলটা ধরেই অন্য শিশুদের মতো ছিল না, তবে কিছুটা লাজুক ছিল।

একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন স্বদেশে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ফিরেন বঙ্গবন্ধু। সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই বাড়িতেই রচিত হয় বাঙালির লজ্জার নিকষ কালো অধ্যায়।

ঘাতকের বুলেট থেকে মুক্তি পায়নি ছোট্ট রাসেল। নারকীয় তাণ্ডবে আতঙ্কিত রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলো- মায়ের কাছে যাব। অথচ পাষাণের দল মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্মমভাবে হত্যা করে তাকে।

নাসরিন আহমেদ বলেন, যে মফিজ সাহেব ছিলেন, যিনি প্রথমে কেস করেছিলেন। উনি বলেছেন যে, আগে রাসেলকে বের করে আনা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে সে দাঁড়িয়ে ছিল। এতো গোলাগুলি, এতো রকমের লোক। সেখানে সেই লোকগুলোর প্রত্যেকেরই মেজাজ, রুক্ষ্ম ও ভীতিকর চেহারা ছিল। তখন সে যখন কাঁদছিল, ওকে জিজ্ঞেস করছিল কেন কাঁদছো? তখন ও বলছিল যে, মায়ের কাছে যাব।

১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫- কৈশোরে উড়ে বেড়ানোর শুরুতেই ঘৃণ্যতম নীলনকশা; শেখ রাসেলের কাছে ইতিহাস তাই লজ্জিত হবে বারংবার।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ