মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিশ্বের কোনো দেশই। উন্নত, অনুন্নত, উন্নয়নশীল— বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোই নীতি সুদহার (প্রিন্সিপাল ইন্টারেস্ট রেট) অনবরত বাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, এই সুদ বাড়ানোর জেরেই বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরেই এই মন্দা বিশ্বকে আক্রমণ করবে বলে শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ‘বিশ্বে কি মন্দা আসন্ন’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। মূল্যস্ফীতি কমাতে সেপ্টেম্বর মাসেই বৈঠকে বসছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এই বৈঠক সামনে রেখেই বিশ্বব্যাংক গবেষণাটি করেছে।
ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে অর্থনৈতিক শক্তির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপ। এই তিন শক্তির অর্থনীতির চাকা দ্রুতগতি হারাচ্ছে। এর মধ্যে আগামী বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর মাঝারি কোনো আঘাত এলেও তার পরিণতি গড়াতে পারে মন্দায়। এই মন্দায় মারাত্মক পরিণতি ভোগ করবে মূলত উঠতি বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো।
বিশ্বব্যাংক বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে একযোগে সুদের হার বাড়াচ্ছে, তা গত পাঁচ দশকে আর দেখা যায়নি। এই প্রবণতা আগামী বছরও থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে করোনা মহামারির আগে মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে ছিল, সেখানে ফিরে যেতে এসব পদক্ষেপ যথেষ্ট নাও হতে পারে বলে ধারণা। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করবে, যা ২০০১ সালের গড় হারের দ্বিগুণেরও বেশি।
১৯৭০ সালের মন্দার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন সবচেয়ে সংকটে রয়েছে। পূর্ববর্তী মন্দা শুরুর আগে মানুষের ব্যয়ের যে প্রবণতা ছিল, সে তুলনায় বর্তমানে মানুষ অনেক কম খরচ করছে। অর্থাৎ কমে গেছে ভোক্তার আস্থা।
বিশ্বমন্দা হলে রফতানির ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার মন্দা হলে জ্বালানি তেলের দাম হয়তো কিছু কমবে, বিশ্ববাজারে পণ্যের দরও কমবে, যা বাংলাদেশের জন্য ভালো দিক। তবে বৈশ্বিক সুদহার বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগ বা বিদেশি পুঁজি ব্যয়বহুল হবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এ নিয়ে বলছেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ব্যাপকভাবে কমে আসছে। ভবিষ্যতে যখন বিভিন্ন দেশ মন্দার কবলে পড়বে, তখন এই গতি আরও কমে আসতে পারে। ডেভিড ম্যালপাসের শঙ্কা, প্রবৃদ্ধি কমে আসার যে হাওয়া বইছে, তা অব্যাহত থাকবে। এর মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে উঠতি বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোকে।
বিশ্বব্যাংকের দেয়া তথ্য বলছে, সরবরাহ ব্যবস্থার সংকট এবং শ্রমবাজারের ওপর থাকা চাপ যদি প্রশমিত না হয়, তাহলে ২০২৩ সালে জ্বালানি খাত বাদে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৫ শতাংশ। এই অঙ্কটা করোনা মহামারির আগের পাঁচ বছরের গড় মূল্যস্ফীতির প্রায় দ্বিগুণ। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদের হার অতিরিক্ত ২ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে চলতি বছরেই এরইমধ্যে এ হার গড়ে ২ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে তারা। বিশ্বব্যাংকের শঙ্কা, একে তো চলছে অর্থনৈতিক সংকট, তারপর সুদের হার বৃদ্ধির এই পরিমাণ ২০২৩ সালে বিশ্বে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ মাথাপিছু আয় সংকোচন করতে পারে। এমন পরিস্থিতিকেই সংজ্ঞাগতভাবে বৈশ্বিক মন্দা বলা হয়ে থাকে।
ডেভিড ম্যালপাসের ভাষ্যমতে, আসন্ন মন্দার ঝুঁকি এড়াতে ভোগ কমানোর চেয়ে বরং উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দেয়া উচিত নীতিনির্ধারকদের। একই সঙ্গে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, বাড়াতে হবে উৎপাদনশীলতা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের বিভিন্ন সময়ের মন্দা আমাদের দেখিয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যখন দুর্বল থাকে, তখন লম্বা সময় ধরে মূল্যস্ফীতি বাড়তে দেয়া কতটা ঝুঁকির হতে পারে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ দেয়া হয়েছে ১৯৮২ সালের মন্দার। তখন বিভিন্ন দেশের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা হারানোর ৪০টির বেশি ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া উন্নয়নশীল অনেক দেশ এক দশক ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হারিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আয়হান কোসে বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের আর্থিক ও রাজস্বসংক্রান্ত নীতিমালা আরও কঠোর করা হয়েছে। এই কৌশল মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজে লাগতে পারে। তবে এসব পদক্ষেপের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেগুলো পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির গতি আরও কমিয়ে দিতে পারে। সমস্যা সমাধানে কিছু পরামর্শও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা বলছে, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আরও সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে। একই সঙ্গে নীতিনির্ধারকদের এমন সব মধ্যমেয়াদি রাজস্ব পরিকল্পনা করতে হবে, যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে এবং দরিদ্র ও দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছে এমন পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশ্বব্যাংক গবেষণায় মূলত বৈশ্বিক প্রবণতাকেই তুলে ধরেছে। সেখানে নির্দিষ্ট কোনো দেশের কথা উল্লেখ নেই। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বিশ্বমন্দা হলে বাংলাদেশ এর বিরূপ প্রভাবের বাইরে থাকতে পারবে না। তবে বৈশ্বিক মন্দা বাংলাদেশকে কিছু সুবিধাও দেবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর এ নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বমন্দা হলে রফতানির ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার মন্দা হলে জ্বালানি তেলের দাম হয়তো কিছু কমবে, বিশ্ববাজারে পণ্যের দরও কমবে, যা বাংলাদেশের জন্য ভালো দিক। তবে বৈশ্বিক সুদহার বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগ বা বিদেশি পুঁজি ব্যয়বহুল হবে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাবে। আমরা জানি যে আমাদের বেসরকারি খাতের ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও সুদহার বাড়বে। এতে আমাদের খরচও বেড়ে যাবে। আর ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুটি জায়গায় পিছিয়ে ছিলাম। যেমন বিনিময় হার ও সুদহার বৃদ্ধি। এর মধ্যে বিনিময় হারে অবমূল্যায়ন ঘটছে। কিন্তু সুদহার বাড়ানো যাচ্ছে না। এটা একটা সমস্যা। কিন্তু অন্যান্য দেশ ঠিকই পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নীতির সমন্বয় করছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা আছে।’ যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল সম্প্রতি তার এক বিশ্লেষণধর্মী লেখায় আশঙ্কা জানিয়েছেন, ভয় ধরানো বিশ্বমন্দা কি আসলেই ধেয়ে আসছে? তিনি বলছেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বাণিজ্যিক অস্থিরতা নিয়ে এত কথা হয়েছে যে সর্বত্র ছাপিয়ে যেতে থাকা বিদ্যমান হতাশা যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত কিনা, তা নিয়ে অনেকেই ধন্দ্বে পড়ে গেছেন। তবে চারটি কারণে আমি হতাশাবাদে ডুবতে রাজি নই।’ প্রথমত, মন্দা সম্পর্কে জনমনে গেড়ে বসা ধারণা যে কতটা ব্যাপক হয়ে উঠেছে, তা দেখে আমি হতবাক। প্রায় প্রত্যেকেই এখন বিশ্বাস করে, উন্নত দেশগুলো মন্দার দিকে যাচ্ছে অথবা এরইমধ্যে মন্দাবস্থায় পড়ে গেছে।
‘বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে ব্যবসাসংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন এমন লোকদের আমি একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছি, যেখানে তাদের সবাই জানতে চেয়েছেন, ‘মন্দা মোকাবিলায় কীভাবে প্রস্তুত হতে হয়?’ আমি তাদের একজনকে বলেছিলাম, আমি এমন কোনো মন্দার কথা জানি না, যার বিষয়ে আগেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল এবং ঠিক সে অনুযায়ী মন্দা আমাদের ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছে। ‘এর প্রধান কারণ, ‘মন্দা’ এমন একটি ভীতিকর শব্দ এবং এই শব্দের মধ্যে এমন একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক দুরবস্থার দ্যোতনা নিহিত থাকে যে তা সাধারণত কেউ প্রত্যাশা করে না। অর্থনৈতিক পূর্বাভাসদাতারাও মন্দা একেবারে দুয়ারে চলে না আসা পর্যন্ত সেটিকে দেখতে পান না। এমনটা ঘটেছিল ২০০৭-০৮ সালে (যা স্বীকৃতভাবে ছিল অনন্য) এবং আবার কোভিড-১৯ আসার পর ২০২০ সালে। ‘তা সত্ত্বেও এখন অনেকে, এমনকি কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংক (যেমন ব্যাংক অব ইংল্যান্ড) রাখঢাক না করেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ বছরের শেষের দিকে বড় ধরনের বৈশ্বিক মন্দা হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে। তার মানে কি অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের মান হঠাৎ আগের চেয়ে উন্নত হয়ে গেছে, নাকি অন্য কিছু চলছে? ‘এটি সত্য যে পরপর দুটি ত্রৈমাসিক জিডিপি বৃদ্ধি নেতিবাচক হলে সাধারণত সেটিকে একটি ঋণাত্মক অর্থনৈতিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া হয় এবং মনে করা হয়, অর্থনীতি মন্দার মধ্যে রয়েছে। এটিও সত্য যে মার্কিন জিডিপি এই বছরের প্রথম দুটি ত্রৈমাসিকে হ্রাস পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এটি দেখেই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে না এসে অবশ্যই আপাতসংকোচনের সুনির্দিষ্ট কারণগুলোকে আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। তাদের মধ্যে পণ্য মজুদ হ্রাসের মতো কিছু বিষয় বৃহত্তর অর্থনীতি সম্পর্কে যে গল্প বলে, তা অন্যান্য সূচকের উল্টো চিত্র দেখায়। উদাহরণস্বরূপ, ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের জুলাই মাসের কর্মসংস্থান রিপোর্ট প্রত্যাশার চেয়েও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী ছিল। সেই তথ্যের আলোকে যদি ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ যুক্তরাষ্ট্রকে মন্দায় না থাকার ঘোষণা দেয়, তাহলে আমি মোটেও অবাক হব না।
‘মন্দা সম্পর্কে প্রচলিত ভাষ্য সম্পর্কে আমার সন্দেহের দ্বিতীয় কারণ হলো, সব মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদি সূচক টেকসই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিক নির্দেশ করে না। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের পাঁচ বছরের মূল্যস্ফীতিসংক্রান্ত প্রত্যাশা সূচকটি অল্প সময়ের জন্য ৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারপর এটি আবার ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে বোঝা যায়, গড় ভোক্তারা এই বছরের মুদ্রাস্ফীতির বিশাল উত্থানকে দীর্ঘমেয়াদি বিষয় নয় বরং অস্থায়ী বিষয় হিসেবে বিবেচনা করছেন।
‘তৃতীয়ত, যদিও অনেক পণ্যের দাম এক বছর আগের এই সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, তথাপি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেই মূল্যবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে। এই মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলে অনেক দেশে মোটা দাগের মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে। ব্যুরো অব ইকোনমিকসের মন্দার পূর্বাভাস এবং এমনকি উচ্চ মূল্যস্ফীতি যখন যথেষ্ট মনোযোগ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০৩ সালের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মূল্যস্ফীতি উচ্চ শিখর থেকে দ্রুত পড়ে যাবে বলে আশা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যে কোনো আর্থিক বাজার সমাবেশের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই করবে, কারণ তারা উচ্চ বেকারত্ব, ঊর্ধ্বমুখী মজুরির চাপ এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি সংকেত (যেমন নিত্যপণ্য, আবাসন এবং ব্যবহূত গাড়ির দাম) এবং দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার বিপরীত হয়, আমাকে আমার অবস্থান থেকে পিছুটান দিতে হবে। কিন্তু ৪০ বছরের ভালো আর্থিক বাজারে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার পর আমি সব সময় এ বিষয়ে আশাবাদী যে যখন কোনো আর্থিক সংকটের বিষয়ে শক্তিশালী মতৈক্য হয়, তখন তা উতরে ওঠা কঠিন হয় না।’ তবে, সবশেষে আশার কথাই শুনিয়েছেন জিম ও’নিল। বলেছেন, যা-ই হোক না কেন, আমি অবশ্যই আশা করি, হতাশাবাদ অতিমাত্রায় পৌঁছানোর আগেই তা কমতে শুরু করবে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ