ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তদন্তে দোষী, তবুও পদোন্নতি!

প্রকাশনার সময়: ২২ মে ২০২৩, ১০:১০
ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে তদন্তে। দেয়া হয়েছে শাস্তি। তবুও রহস্যজনক কারণে ‘চিহ্নিত অপরাধী’দের নাম রাখা হয়েছে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায়। চিহ্নিত অপরাধীরা পদোন্নতি পেলে সংশোধিত হওয়ার বদলে তারা অপরাধে আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ডিপিডিসির বিভিন্ন সার্কেলে কর্মরত কিছু কর্মকর্তা জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে। অতিমাত্রায় অনিয়ম-দুর্নীতি হওয়ায় কিছু কিছু ঘটনার হয়েছে তদন্ত। এসব তদন্তে কোনো কোনো কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিও দেয়া হয়েছে।

তেমন কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন নায়াণগঞ্জ পূর্ব’র নির্বাহী প্রকৌশলী, এনওসিএস রুহুল আমীন ফকির (আইডি নম্বর-১১০৯৩), নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী, এনওসিএস, গোলাম মোর্শেদ (আইডি নম্বর-১১১২০), ডিপিডিসির জিটুজি প্রকল্পের পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাজিবুল হাদিসহ (আইডি নম্বর-১১০৯০) আরও অনেকে।

ডিপিডিসির সদ্য প্রকাশিত এক সার্কুলারে দেখা যায়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি দিতে নির্বাহী প্রকৌশলীদের তিনটি স্তরে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। ১ম দফা সাক্ষাৎকারটি নেয়া হবে ২২ মে বিকাল ৫টায়, দ্বিতীয় দফা সাক্ষাৎকারটি নেয়া হবে একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় এবং তৃতীয় দফা সাক্ষাৎকারটি নেয়া হবে ২৩ মে বিকাল ৫টায়।

এ তালিকার প্রথম দফা সাক্ষাৎকারের তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে প্রকৌশলী গোলাম মের্শেদের নাম এবং দ্বিতীয় দফা সাক্ষাৎকারের তালিকায় ৫ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে প্রকৌশলী রাজিবুল হাদি আর ৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে প্রকৌশলী রুহুল আমিন ফকিরের নাম।

এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর সেই ব্যক্তিকে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায় রাখা অন্যায়। তাদের পদোন্নতিতে রাখা সঠিক নয়।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিক্রমপুর সোসাইটি আবাসিক প্রকল্পে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হয়। লাইনটি নির্মাণে সব ধরনের নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে ব্যক্তিস্বার্থে ইচ্ছামাফিক কাজ করেছে ডিপিডিসির শীতলক্ষ্যা ডিভিশন। লাইন নির্মাণে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়ার জন্য আর্থিক প্রাক্কলন প্রস্তুত এবং পরিকল্পনা দফতরের পরামর্শ গ্রহণের বিধান থাকলেও তার তোয়াক্কাই করেনি সংশ্লিষ্টরা।

লাইন নির্মাণের পর চালু করার সময় করা হয়নি শাট-ডাউন। এমনকি বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের ডিপিডিসির নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ডিপোজিটের ওয়ার্ককে ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক দেখিয়ে করা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ। এর ফলে সরকারকে বিশাল অঙ্কের রাজস্ববঞ্চিত করে আবাসিক প্রকল্পটি থেকে একটি চক্র নামে-বেনামে প্লট ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও সূত্রে প্রকাশ।

এ ব্যাপারে ডিপিডিসি থেকে তৎকালীন শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন ফকিরকে ১৩টি দফা উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।

অভিযোগ রয়েছে, শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন ফকির (বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণগঞ্জ পূর্ব) বিক্রমপুর আবাসিক সোসাইটির অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লাইন নির্মাণে সরকারকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ববঞ্চিত করে দুর্নীতির মাধ্যমে নিজে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে প্রকৌশলী রুহুল আমীন ফকির দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়।

তবে অপর একটি সূত্রে জানা যায়, বিক্রমপুর সোসাইটি আবাসিক প্রকল্পে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণে তদন্তে প্রকৌশলী রুহুল আমিন ফকির দোষী প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করে অন্যত্র বদলি করে দেয়।

এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন ফকির বলেন, আমার এক বছরের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে— এটা আপনাকে কে বলেছে? অনিয়ম-দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত ও শাস্তি প্রদানের পর নাম পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায় থাকা কতটুকু আইনত বলে মনে করেন— এমন প্রশ্নে প্রকৌশলী রুহুল আমীন ফকির বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।

এছাড়া রাজধানীর কদমতলীর অনুপম বরফকলের মালিক মো. মতিউর রহমানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে ডিপিডিসির মাতুয়াইল ডিভিশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত) গোলাম মোর্শেদের বিরুদ্ধে। ডিপিডিসির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএম ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক মো. মাইনুদ্দিনের মধ্যস্থতায় এ অর্থ নেয়া হয়।

টাকা নেয়ার পরও আর সংযোগ দেননি। এমনকি মাস শেষে বিলের কোনো রশিদও তাকে দেয়া হয়নি। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ঊর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো ফল পাননি ওই বরফকল মালিক। পরে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদের কাছে সমাধান জানতে চাইলে উল্টো অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের অভিযোগের ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী গ্রাহক ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষী ব্যক্তিরা হলেন— ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ (আইডি নম্বর-১১১২০), সংস্থাটির সিস্টেম কন্ট্রোল স্ক্যাডার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল ফাতাহার (আইডি নম্বর-১১৩৩৮) ও গাড়িচালক আরুক মুন্সী (আইডি নম্বর-১৫৭৬৮)।

গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ডিপিডিসির এক আদেশে ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদের দুবছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। আদেশের স্মারক নম্বর যথাক্রমে: ৮৭.৪০৫.৪২০.০৮.৯৯(৩২).০৫১.২০১৮.৫৪।

মাতুয়াইলের অনুপম বরফকলের অনিয়ম-দুর্নীতিতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আপনার দুই বছরের ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের শাস্তির পর পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায় আপনার নাম থাকা কতটুকু আইনসিদ্ধ বলে মনে করেন এমন প্রশ্নে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ অপর প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আবার ডিপিডিসির জিটুজি প্রকল্পের পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাজিবুল হাদি প্ল্যানিং শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ-দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্য ওএসডি করে ডিপিডিসির টঙ্গী স্টোরে সংযুক্ত করে রাখা হয়। তাছাড়া ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। যা তদন্তনাধী অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে।

সমাজ সচেতনদের মতে ডিপিডিসির দুর্নীতিবাজদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে পদোন্নতি হওয়াটা মোটেই সমীচীন নয়। তাছাড়া দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর শাস্তিপ্রাপ্তদের আবার পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায় নাম থাকাটাই আশ্চর্যজনক। তাদের মতে চিহ্নিত অপরাধীদের পদোন্নতি দেয়া হলে অপরাধ করতে আরো উদ্বুদ্ধ করা হবে।

এ ব্যাপারে ডিপিডিসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব (অর্থ বিভাগ) মো. মানজারুল মান্নান এ ব্যাপারে বলেন, বোর্ডে এসব বিষয় প্রার্থীদের সার্ভিস হিস্ট্রি তুলে ধরা হবে, তখনই এ ব্যাপারে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।

ডিপিডিসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও উপসচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ এরাদুল হক বলেন, আমি নুতন বোর্ড মেম্বার। এখনো বসা হয়নি কিংবা কোনো বোর্ড মিটিংও করিনি। ফলে এ সব বিষয়ে তেমন কিছুই আমার দৃষ্টিগোচর নেই। তবে বোর্ডে যদি এ ধরনের বিষয় আলোচনা হয় তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব।

এদিকে প্রায় কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে মাতুয়াইলের মাদানীনগর হাউজিংয়ের মধ্যে ডিপিডিসির ঘুণপোকাখ্যাত সংঘবদ্ধ চক্রটি ১৫-২০টি পোল স্থাপন করেছে। এর মধ্যে ইসলামবাগ ফিডারে রোড নম্বর-৯ এ এনজিলিকের ট্রান্সফর্মার (ভুট্টো চত্বর) হতে ২ স্প্যান এক্সিস্টিং লাইনে এইচটি লাইন টানার ফিটিং স্থাপন করে জিকে টাওয়ারের সামনে নতুন পোল স্থাপন এবং তুষারধারা ফিডারে গিরিধারা রোড— এ বিচারপতির বাড়ির সামনে নতুন ২ স্পেন এইচটি লাইন টেনে এইচটি আবাসিক গ্রাহককে সংযোগ প্রদান আর তুষারধারা ফিডারে ডাক্তার গলিতে এনজিলিক ট্রান্সফর্মার হতে এক্সিস্টিং পোল— এ ৩/৪ স্প্যান এইচটি লাইন টানা হয়েছে।

অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে পোল স্থাপন করে লাইন নির্মাণ করলে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত কমিটি গঠন হলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গঠিত তদন্ত কমিটি প্রায় মাস দুয়েক পূর্বে রিপোর্ট জমা দিলেও এখনো তেমন কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি বলে সূত্রের দাবি।

যদিও জমা দেয়া ওই তদন্ত রিপোর্টে অপরাধীদের পার পাইয়ে দিতে দৃশ্যমান প্রকৃত অপরাধ আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। ডিপিডিসির একটি মহলের দাবি এসব অপরাধের সঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তাদের কতিপয় দুর্নীতিবাজ জড়িত, যার ফলে এসব অপরাধীচক্র বারবার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। উপরন্তু এ দেরকে পুরস্কৃত করতে দেয়া হচ্ছে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ এবং নাম রাখা হচ্ছে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার তালিকায়।

অভিযোগ রয়েছে, মাতুয়াইলের মাদানীনগর হাউজিংয়ের মধ্যে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে পোল স্থাপন করে লাইন নির্মাণ করেছেন মাতুয়াইল ডিভিশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ পারভেজ (বর্তমানে ডিপিডিসি লালবাগ ডিভিশনে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত), উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন হাওলাদার (বহাল তবিয়তে মাতুয়াইল ডিভিশনে) এবং সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সানোয়ার হোসেনের (বর্তমানে ডিপিডিসি শের-ই বাংলা নগর ডিভিশনে কর্মরত) নেতৃত্বে একটি চক্র।

চক্রটি ‘মাতুয়াইল এলাকায়’ চারটি স্পটে বৈদ্যুতিক খুঁটি রোপণ করে বৈদ্যুতিক তার স্থাপন করে। ওই চারটি স্পটের গ্রাহকদের লাইন নির্মাণের ডিপোজিটের টাকা ব্যাংকে জমা দেয় নাই। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই লাইনগুলো নির্মাণ করে। এতে করে রাষ্ট্রের প্রায় ৭০ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে নিজেরা লাভবান হয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ