বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির মুক্তির দূত নন, বিশ্বমঞ্চে শোষিত-নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। নেতৃত্বে কারো কাছে তিনি হিমালয় সমান, ব্যক্তিত্বে আকাশছোঁয়া উচ্চতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন, সাহসী, বজ্রকন্ঠের অবিসংবাদিত এই নেতাকে জর্জ ওয়াশিংটন-মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে উঁচু আসনে স্থান দিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁর মৃত্যুতে সৃষ্ট শূণ্যস্থান, বিশ্বনেতাদের অনেকের কাছেই ছিলো অপূরণীয়।
এক নেতা, এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। একাত্তরে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের কণ্ঠস্বর- সাহসের বাতিঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে জন্ম বঙ্গবন্ধুর, কিশোর বয়স থেকেই মানবতার জন্য কেঁদে ওঠতো তাঁর হৃদয়। এরপর বেড়ে ওঠার সাথে, সংগ্রামের দীর্ঘ পথে- মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। খুব অল্প সময়েই হয়ে ওঠেন বিশ্বনেতা-বিশ্ববন্ধু।
জাতিসংঘসহ বিশ্বের বড় বড় সভায় দ্বিধাহীন কন্ঠে দৃঢ়চেতা বঙ্গবন্ধু সোচ্চার ছিলেন নিপীড়িত-মেহনতি মানুষের জন্য। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে দেখলে হিমালয় দেখা হয়ে যায়।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সাম্যের নীতিতে বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শোকাহত করে বিশ্বকে। সমসাময়িক নেতা ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, কিউবার ক্যাস্ট্রো, ব্রিটিশ এমপি জেমস লামন্ড বলেছিলেন, মহান এক নেতাকে হারালো বিশ্ব।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা লর্ড ফেনার ব্রকওয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকে মানবহত্যার চেয়েও বড় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ক্যারিশমেটিক লিডার বঙ্গবন্ধু; যার ব্রজকন্ঠের সংগ্রাম-শান্তি আর মানবতার বার্তা মন্ত্রমুগ্ধ করতো বিশ্বকে। অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখা বঙ্গবন্ধু তাই যুগ যুগ ধরে প্রজন্মের কাছে মৃত্যুহীন এক মহাজীবন।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ